Skip to main content

Posts

Showing posts from December, 2017

পেপটিক আলসার/Peptic ulcer কি? কিভাবে বুঝবেন আপনার পেপটিক আলসার হয়েছে?

পেপটিক আলসার সবচেয়ে পরিচিত একটি রোগ৷ কেউ কেউ একে গ্যাস্ট্রিক নামে অভিহিত করেন৷ আমাদের জনগোষ্ঠীর বিশাল একটা অংশ এই রোগে ভুক্তভোগী এবং এদের মধ্যে পুরুষই বেশি৷ বিশ বছর থেকে পঞ্চাশ পর্যন্ত যে কেউ আলসারে আক্রান্ত হতে পারেন৷ আলসার হচ্ছে অন্ত্রের দেয়ালে তৈরি এক ধরনের ক্ষত, অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণের ফলে এই ক্ষতগুলো তৈরি হয়৷ খাদ্যনালী, পাকস্থলী, ডিওডেনাম বা অন্ত্রের শুরুর কিছু অংশে আলসার হতে পারে৷ প্রধানত পাকস্থলী বা ডিওডেনামেই আলসার দেখা দেয়, সে-অনুযায়ী আলসার দুই ভাগে বিভক্ত: গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পাকস্থলীর আলসার এবং ডিওডেনাল আলসার৷ রোগ-প্রক্রিয়া মোটামুটি একইরকম হলেও এদের উপসর্গে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে৷ আলসারের সঙ্গে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সম্পর্ক প্রায় অবিচ্ছেদ্য৷ তাই ব্যাকটেরিয়াটিকে সমূলে বিনাশ না করা পর্যন্ত আলসার সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না৷ সাধারণ কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে বিপজ্জনক এই শত্রুকে বিনাশ করা সম্ভব৷ সেজন্যে অবশ্য আপনাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে৷ কিভাবে বুঝবেন পেপটিক আলসার হয়েছে : আলসারে পেটে ব্যথা হয়৷ কিন্তু ব্যথার চেয়েও বেশি পরিচিত উপসর্গ হচ্ছে বুকের মাঝখানে জ্বালাপ...

আমাশয় হলে করণীয় কী?

উত্তরঃ উদরাময় ও তার সঙ্গে পেটের ব্যথাসহ অল্প অল্প মল, রক্ত, আম বা আম রক্ত ও পুঁজ বার বার বের হতে থাকলেই তাকে আমাশয় বলা হয়। আমাশয় হচ্ছে একটি ইন্টেসটেনাইল প্রদাহ যা আমাদের কোলনে হয়ে থাকে। Dysentery তে আক্রান্ত রোগী মারাত্মক ডাইরিয়ায় ভুগতে পারে সাথে মিউকাস ও রক্ত থাকতে পারে।এছাড়া রুগীর তল পেটে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভূত হয়। যদি আক্রান্ত ব্যক্তি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তবে তার জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এমনকি দীর্ঘদিনের আমাশয় বিভিন্ন জটিলতারও সৃষ্টি করতে পারে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে আমাশয় সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে। ১. এমিবিক আমাশয় (Amoebic Dysentery) ২. বাসিলারী (Bacillary Dysentery) বিস্তারিত জানুন নিচের পোস্টগুলো পড়ে। ধন্যবাদ আমাশয় হলে যা যা করতে হবে : – বাসী ও পচা খাবার খাওয়া যাবে না – সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছিন্ন থাকতে হবে – টয়লেটের পরিবেশ উন্নত করতে হবে বা স্বাস্থ্যসম্মত স্যানেটারি ব্যবস্থা করতে হবে – প্রতিবার খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে – টয়লেট থেকে ফিরে সাবান ব্যবহার করতে হবে – যারা পাবলিক যানবাহনে চলাফেরা করেন তারা অফিসে গিয়ে এবং অফিস থেকে বাসায় ফিয়ে...

আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি হলে কি করবেন? আমাশয়ের কারণ ও প্রতীকার জেনে নিন

আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি বলতে আমরা সাধারন ভাবে যা বুঝায়– অ্যামিবা  (এক কোষী পরজিবি বা পেরাসাইট) এবং সিগেলা-shigella এক ধরনের বেক্টরিয়ার ধারা মানবদেহের পরিপাকতন্ত্রে (গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল) বাসা বেঁধে যে ঘা বা ইনফেকশনে  পেটে কামড়ানো সহ মলের সাথে পিচ্ছিল আম অথবা শ্লেষ্মা যুক্ত  রক্ত যাওয়া কে আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি বলা হয়। “আধুনিক প্রযুক্তিতে কয়েকটি ভাইরাস, ছত্রাক ও কৃমি জাতীয় জীবাণু ও আমাশয় সৃষ্টি করতে পারে বলে প্রমানিত হয়েছে” আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি একটি অতি পরিচিত রোগ। বিভিন্ন কারণে এই রোগ হয়। আজ এ বিষয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশে সোসাইটি অব মেডিসিনের মহাসচিব এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা মো. ফয়জুল ইসলাম চৌধুরি। ডিসেন্ট্রি বা আমাশয় অত্যন্ত প্রচলিত একটি রোগ। এ রোগের আক্রান্ত হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে কারো কারো বেলায় দীর্ঘ মেয়াদি হয়। কেউ কেউ মনে করে তার সারাজীবন ধরেই আমাশয় হচ্ছে। আমাশয়ের কারণ কী? আমাশয় খুব প্রচলিত একটি  রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর এক ধরনের লোক আছে যারা এসে বলে, ‘আমার ক্রনিক ডিসেন...

আমাশয় এবং আইবিএস কি ? #005

আমাশয় (Dysentery) অন্ত্রে সংক্রমনের কারণে প্রদাহজনিত পেট ব্যাথা ও শ্লেষ্মা বা রক্তসহ পাতলা পায়খানা সৃষ্টিকারী রোগ। আমাশয় প্রধানত দুপ্রকার, অ্যামিবিয় আমাশয় বা অ্যামিবিয়াসিস আর ব্যাসিলারি আমাশয় বা শিগেলোসিস। অ্যামিবীয় আমাশয় ( Amoebic dysentery, Amoebiasis) Entamoeba histolytica নামক এককোষী পরজীবীঘটিত আমাশয়। এ এককোষী জীবাণু অন্ত্রের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি আক্রমণ করে এবং রোগ শুরু হলে শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির স্থানে স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং সেগুলি থেকে শ্লেষ্মা, পচা দেহকোষ, অ্যামিবা-কোষ নির্গত হয়। রোগ লক্ষণে থাকে পেটব্যথা, ঘন ঘন শ্লেষ্মা সহকারে ঘন ঘন মলত্যাগ (দিনে ৩০ বার বা ততোধিক হতে পারে), মলত্যাগে যন্ত্রনা, বমি ও সাধারণ দৌর্বল্য। পেটে একটি বিশেষ ধরণের (tenesmus) ব্যথা অনুভুত হতে দেখা যায়। নাভীর চারপাশে কামড়সহ মলত্যাগের তাড়াহুড়ো ইচ্ছে কিন্তু বাথরুমে গিয়ে মলত্যাগের অতৃপ্তি। জীবাণুঘটিত রক্ত আমাশয়ে যেখানে মলের সঙ্গে টাটকা রক্তপাত ঘটে, সেখানে অ্যামিবীয় আমাশয়ে মারাত্মক পরিস্থিতি ব্যতীত সাধারণত মলে কোনো রক্ত থাকে না। অ্যামিবা পরজীবী জীবনচক্রের এক পর্যায়ে মানুষের শরীরে ক্ষুদ্র ক...

আমাশয় এবং আইবিএস কি ? #004

শহরের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুরাদ হোসেন, বয়স পঞ্চাশ, উদ্বিগ্ন মনে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বারে বসে আছেন। কয়েকদিন যাবৎ তার পেটটা ভাল যাচ্ছে না। এর আগেও তার পাতলা পায়খানার সমস্যা হয়েছে। কিন্তু এবার তিনি লক্ষ্য করেছেন- পায়খানার সাথে লাল লাল রক্ত যাচ্ছে। তাই তিনি চিন্তিত মনে তার সমস্যা নির্ণয়ের চেষ্টায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন। পারভিন আক্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। বয়স চব্বিসের কাছাকাছি হবে। কয়েক মাস ধরে তার পেটে সমস্যা হচ্ছে। দিনে দু থেকে তিনবার পায়খানা হয়, প্রত্যেকবার পায়খানার আগে পেটটা মোচড় দিয়ে ব্যথা হয়, পায়খানা হয়ে গেলে ব্যথা কমে যায়। পেটে শব্দ হয় এবং পায়খানা কিছুদিন পাতলা হয়, আবার কিছুদিন ভাল থাকে। পায়খানার সাথে আম যায়। এমতাবস্থায় দৈনন্দিন কাজে সমস্যা হওয়ায় একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট পরামর্শের জন্য এসেছেন। দীর্ঘমেয়াদী লিভার প্রদাহের সমস্যায় ভুগছেন চল্লিশ বছর বয়সী রাকিব মোল্লা। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করে যাচ্ছেন। কয়েক মাস হল তার পায়খানা পাতলা হতে শুরু করেছে। কিছুদিন ভাল থাকে, কিছুদিন পাতলা হয়, কিছুদিন কষা হয়। পায়খানার সাথে আম যায়। পেটে খু...

আমাশয় হলে কি করে বুঝবেন? #003

আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি আমাদের দেশে একটি অতি পরিচিত রোগ৷ ডিসেন্ট্রি বা আমাশয় হলো এক ধরনের ডায়রিয়া যাতে পাতলা মলের সাথে রক্ত দেখা যায়৷ প্রকারভেদ - আমাশয় দু ধরনের, এদের কারণ যেমন ভিন্ন রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসাও তেমনি ভিন্ন৷ ১. এমিবিক আমাশয় :  এমিবিক ঘটিত ডিসেন্ট্রি বড় ছেলে-মেয়েদের হয়ে থাকে কিন্তু ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে এর প্রবণতা অত্যন্ত কম৷ ২. বেসিলারি আমাশয় :  বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা অন্ত্রের সংক্রামনের কারণে ডিসেন্ট্রি হয়৷ সাধারণত বিভিন্ন ধরণের ব্যাকটেরিয়ার কারণেই এটা হয়৷ তাদের মধ্যে সিগেলা নামক ব্যাকটেরিয়াই অন্যতম৷ এমিবিক ডিসেন্ট্রি : এই রোগটি পরিপাকতন্ত্রের বৃহদান্ত্রে এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা নামক এক প্রকার পরজীবীর সংক্রামণের ফলে হয়৷ রোগটি হঠাৎ করে তীব্র আকারেও হতে পারে আবার অল্প অল্প উপসর্গসহ দীর্ঘ দিনেরও হতে পারে৷ কীভাবে সংক্রামিত হয় ? এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা পরজীবীটি এর চারদিকে এক ধরণের আবরণ গঠন করে মাটিতে ও পানিতে বিচরণ করে৷ দূষিত পানি, অপরিচ্ছন্ন খাবারের মাধ্যমে এই পরজীবীটি পেটের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং বৃহদান্ত্রের সিকামের কাছাকাছি জায়গায় গিয়ে এর ...

আমাশয় এবং আইবিএস কি ? #002

দীর্ঘমেয়াদী আমাশয়ের সমস্যার মধ্যে একটি হলো ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম তথা আইবিএস। পৃথিবীর মানুষ পরিপাকতন্ত্রের যে সমস্যাটির জন্য সবচেয়ে বেশী কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকে এবং যে সমস্যাটির জন্য জীবনযাপনের মানে ঘাটতি হয় তা হলো আইবিএস। রিসার্চ অনুযায়ী একটি দেশের লোকসংখ্যার ২০ শতাংশ আইবিএসের লক্ষণ বহন করে এবং ১০ শতাংশ ডাক্তারের কাছে চিকিত্সার জন্য আসে। পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের প্রায় দুই থেকে তিনগুণ এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়। যারা আইবিএস নামক দীর্ঘমেয়াদী আমাশয় সমস্যায় ভুগে তাদের একটি অংশের উক্ত রোগের সাথে থাকে বদহজম, দীর্ঘমেয়াদী ক্লান্তি, মাসিকের সময় ব্যথা এবং পুরো শরীর ব্যথাসহ এই জাতীয় সমস্যা। আইবিএসের কারণ ও প্রভাবক হিসেবে বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন। এগুলো দুটো ভাগে ভাগ করা যায়: মনোসামাজিক ও শারীরবৃত্তীয়। মনোসামাজিক কারণের মধ্যে আছে দুশ্চিন্তা ও হতাশা। এছাড়া হঠাত্ অধিক মানসিক চাপও আইবিএসকে প্রভাবিত করে। দেখা গেছে, আইবিএসে আক্রান্ত রোগীরা অল্প সমস্যা হলেই মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তারা পরিস্থিতি সহজে মানিয়ে নিতে পারে না। শারীরবৃত্তীয় সমস্যার মধ্যে রয়েছে অন্ত্রনালীর অস্...

আমাশয় কি ?

আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি বলতে অ্যামিবা যা এককোষী পরজীবী বা প্যারাসাইট এবং সিগেলা (shigella) নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যা মানবদেহের পরিপাক তন্ত্রে (গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল) বাসা বেঁধে ঘা বা ইনফেকশন সৃষ্টি করে মলের সঙ্গে পেটে কামড়ানোসহ পিচ্ছিল আম অথবা শ্লেষ্মাযুক্ত রক্ত যাওয়াকে বোঝায়। ‘আধুনিক প্রযুক্তিতে কয়েকটি ভাইরাস, ছত্রাক ও কৃমি জাতীয় জীবাণুও আমাশয় সৃষ্টি করতে পারে বলে প্রমাণিত হয়েছে’ আমাশয় বা ডিসেন্ট্রি অতি পরিচিত রোগ। বিভিন্ন কারণে এ রোগ হয়। আমাশয়ের কারণ এই রোগে আক্রান্ত হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। এক ধরনের লোক আছে যারা ডাক্তারের কাছে এসে বলে, ‘আমার ক্রনিক ডিসেন্ট্রি। ১০ বছরের বা ১২ বছরের ডিসেন্ট্রি।’ যদি কারও বারবার পায়খানা হয়। পায়খানার সঙ্গে যদি রক্ত বা মিউকাস যায়, তখন আমরা একে বলি আমাশয়। আমাশয় প্রধানত দুই ধরনের- * এমোবিক ডিসেনট্রি * বেসিলারিক ডিসেনট্রি এ আমাশয় দীর্ঘ মেয়াদি নয়। এগুলো স্বল্প মেয়াদির আমাশয়। তিন থেকে সাত দিনের হয়ে থাকে। চিকিৎসা না করা হলেও চলে যেতে পারে। তবে জোরালোভাবে যদি রোগী আক্রান্ত হয় তাহলে চিকিৎসা করা দরকার এবং পাঁচ থেকে সাত দিনের ভেতর ভালো হয়ে যাবে। আরে...

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য #002

কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেশন সম্পর্কে আমরা কমবেশি জানি। মলত্যাগ করতে কারও যদি অসুবিধা হয় অথবা বেশি সময় লাগে, তাকেই আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য বলে থাকি। অনেক সময় অসুস্থতার কারণে কম খাওয়া ও অপর্যাপ্ত পানি পান করায় কিছুদিনের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তবে এই অসুখটি আসলে বয়স্কদের অসুখ হিসেবেই বেশি পরিচিত। শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়, প্রতিকারই বা কী- সে সম্পর্কে ধারণা হয়তো আমাদের অনেকেরই নেই। অনেক শিশু আছে, দু-তিনদিন পায়খানা না করেও ভালো থাকে। আবার অনেকের একদিন পায়খানা না করার কারণেই পেট ফুলে যেতে পারে। তিন থেকে পাঁচ বছরের শিশুরা কোষ্ঠকাঠিন্যে বেশি ভোগে। এ শিশুর কয়েক মাস ধরে পায়খানার সমস্যা থাকে এবং বেশ কয়েক দিন পরপর পায়খানা হয়। সব সময় কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে এর কারণ বের করে চিকিৎসা করাতে হয় । কারণ অনেক দিনের কোষ্ঠকাঠিন্য বা ক্রনিক কনস্টিপেশনের বেশকিছু কারণ রয়েছে। যেমন- খাদ্যাভ্যাসজনিত কারণ : কম আঁশযুক্ত খাবার খেলে অনেক শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে পারে। গরুর দুধ খেলেও অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। শারীরিক ত্রুটি * অ্যানোরেকটাল স্টেনোসিস বা মলদ্বার জন্মগতভাবে বন্ধ থাকলে। * স্নায়ুতন্ত্রের ত্রুটি। * মানসিক...

মলের সঙ্গে রক্ত?

মলের সঙ্গে বা পায়ুপথে তাজা রক্ত যাওয়ার ব্যাপারকে মামুলিভাবে নিলে চলবে না। সাধারণ পাইলস থেকে শুরু করে ক্যানসার পর্যন্ত নানা কারণে পায়ুপথে রক্তপাত হতে পারে। অনেক সময় মলের সঙ্গে কালো রঙের পিচ্ছিল রক্ত যায়, যা ফ্ল্যাশ করলেও কখনো কখনো রয়ে যায়। এটি কিন্তু তাজা রক্ত নয়। সাধারণত পাকস্থলী বা অন্ত্র থেকে রক্তক্ষরণ হলে তা মলের সঙ্গে কালো আলকাতরার মতো রং ধারণ করে। কিন্তু পায়ুপথে তাজা লাল রক্ত গেলে তা বৃহদন্ত্রের একেবারে নিচের অংশ থেকে আসছে বলে ধরে নিতে হবে। পাইলস, অ্যানাল ফিশার, রেকটাল পলিপ বা রেকটাল ক্যানসার হতে পারে এর অন্তর্নিহিত কারণ। * পাইলস: মধ্যবয়সে পায়ুপথে তাজা রক্তক্ষরণের অন্যতম কারণ পাইলস। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে এবং অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এ রোগের ঝুঁকি বেশি। এতে প্রথমদিকে মলের সঙ্গে ফোঁটা ফোঁটা বা ফিনকি দিয়ে তাজা রক্ত যায়। পরবর্তী সময়ে একটা মাংসপিণ্ড গোটার মতো পায়ুপথে বের হয়ে আসে। পাইলস হলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হবে। এর ওষুধও আছে। জটিল আকার ধারণ করলে শল্যচিকিৎসা লাগে। * রেকটাল পলিপ: এ সমস্যা শিশুদের বেশি হয়। এটাও অনেকটা পাইলসের মতোই। মলের সঙ্গে তাজা লাল রক্তক্ষরণ হয়, আবার গোটার মতো ...

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় কাঁঠালে

কাঁঠাল কেবল বাংলাদেশের জাতীয় ফলই নয়, দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের রাজ্য ফলও। আর তামিলনাড়ুর তিনটি পবিত্র ফলের একটি কাঁঠাল। এ জন্যই বোধ হয় কাঁঠালের সঙ্গে গোঁফের সম্পর্কটা জোরালো। এও জেনে রাখা ভালো, বৃক্ষে জন্মায় এমন ফলের মধ্যে কাঁঠালই পৃথিবীতে বৃহত্তম। একটা কাঁঠাল ওজনে প্রায় ৮০ পাউন্ড অবধি হতে পারে। তবে আর যাই হোক, কাঁঠাল এমন একটি ফল যা প্রচুর ক্যালরি, প্রচুর আঁশ জোগাতে সক্ষম। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালের কোয়ায় রয়েছে ৯৫ ক্যালরি শক্তি। শর্করা আছে ১৯ গ্রামের বেশি, আর আঁশ দেড় গ্রাম। প্রচুর আঁশ থাকার কারণে কাঁঠাল খেলে কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় সহজে, তবে অনেকের পেটে গ্যাস হতে পারে। আর শর্করা বেশি থাকার কারণে বেড়ে যেতে পারে রক্তের শর্করা। তবে ভিটামিন এ, সি ও বি কমপ্লেক্সের পরিমাণও কম নয় এতে। কেবল বাংলাদেশেই নয়, কাঁচা কাঁঠাল এঁচোড় বা তরকারি রান্না করে খাওয়ার প্রচলন আছে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ইত্যাদি দেশেও। কাঁচা কাঁঠালেও ক্যালরির পরিমাণ অনেক। আমিষের এক চমৎকার উৎস হলো কাঁঠালের বিচি। জাভা দ্বীপের অধিবাসীরা আমিষের অভাব পূরণ করতে কাঁঠালের বিচি সেদ্ধ করে লবণ মেখে খায়। প্...

বিরক্তিকর কোষ্ঠকাঠিন্য

নারীদের কি কোষ্ঠকাঠিন্য স্বাভাবিক? এ নিয়ে বড় তথ্য-উপাত্ত নেই। তবে জীবনের বিভিন্ন সময়ে নারীদের জন্য এটি বিরক্তিকর ও কষ্টকর স্বাস্থ্যগত সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। গবেষকেরা বলছেন, শারীরিক গঠনের পাশাপাশি কিছু খারাপ অভ্যাসও এর জন্য দায়ী। গর্ভকালীন কোষ্ঠকাঠিন্য একটি পরিচিত সমস্যা। নানা হরমোনের প্রভাবে অন্ত্রের চলন কমে যাওয়া, ভারী পেটের কারণে পাকস্থলী খালি হতে বেশি সময় লাগা এবং এ সময় তলপেটে পেশি, স্নায়ু ইত্যাদির ওপর অতিরিক্ত চাপের কারণে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সন্তান প্রসবের পরও অনেক সময় এটি প্রকট আকারে দেখা দেয়। কারও কারও এ থেকে পাইলস বা ফিসার পর্যন্ত হয়। এ ছাড়া অনেক নারীরই মাসিকের সময় হঠাৎ করে ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। থাইরয়েডের সমস্যাও মেয়েদের মধ্যে বেশি, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী হতে পারে। দেখা গেছে, ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোম নারীদের বেশি হয়। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য লেগেই থাকতে পারে। এর বাইরে সম্প্রতি গবেষকেরা বলছেন, বাড়ির বাইরে প্রয়োজনে টয়লেট ব্যবহারে নারীদের অনীহা তাদের এসব আন্ত্রিক সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। এসব সমস্যা থেকে রেহাই পেতে প্রথমেই টয়লেট ব্যবহার নিয়ে শুচিবাই থেকে বেরোতে হব...

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য

শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কান্নাকাটি করে, পেট মোচড়ায় এবং খাওয়াদাওয়াও কমিয়ে দেয়। অস্বস্তি হয় বলেই এমনটা করে তারা। শিশুর এই অস্বস্তি মায়েদের উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা পানের বোঁটা বা সরষের তেলে আঙুল মাখিয়ে মলদ্বারে ঢুকিয়ে দেন। এতে সাময়িক সুফল এলেও পরে ফল হতে পারে মারাত্মক। স্বাভাবিক পায়খানা দুই-তিন দিন পরপর হলেও তাকে কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে না। পরপর তিন দিন শক্ত পায়খানা হলে বা মলত্যাগ করতে কারও যদি অসুবিধা হয় অথবা বেশি সময় লাগে, তাকেই আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য বলে থাকি।   কারণ কী? সবচেয়ে বড় কারণ অপর্যাপ্ত আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ। যেসব শিশু কৌটার দুধ খায় তাদেরও সমস্যা বেশি হয়। অপর্যাপ্ত পানি পান করার জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে মলত্যাগের সময় ব্যথা পায়, ফলে দ্বিতীয়বার মলত্যাগের সময় সে ভয় পায় এবং পায়খানা চেপে ধরে রাখে। ফলে পায়খানা আরও শক্ত হয়ে যায়, বেশ কয়েক দিন পর শক্ত পায়খানা বের হওয়ার সময় পায়খানার রাস্তায় ক্ষত হতে পারে এবং সামান্য রক্তও বেরোতে পারে। এ ছাড়া অল্প বয়সেই গরুর দুধ খেলে, মলদ্বারের মাংসপেশির ত্রুটি, মানসিক প্রতিবন্ধী, সেরেব্রাল পলসি, হাইপোথা...

কোষ্ঠকাঠিন্য: কী করবেন

মানুষের অন্ত্রের অভ্যন্তরীণ গতিপ্রকৃতি আলাদা হওয়ার কারণে একেকজনের কোষ্ঠ বা মলের ধরন একেক রকম। তবে মলত্যাগের সময় কষ্ট বা মল শক্ত হওয়ার কারণে মলদ্বারে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হলে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন। * কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে প্রচুর। শাকসবজি, ফলমূল, গোটা শস্যে প্রচুর আঁশ রয়েছে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। * খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর না হলে পানিতে ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খেতে পারেন। প্রাকৃতিক উপাদান বলে এটি গ্রহণের ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা কম। * বাজারে নানা ধরনের সিরাপ, জোলাপ ইত্যাদি পাওয়া যায়। কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কোনো ওষুধ সেবন করবেন না। কারণ ওষুধের মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গিয়ে উল্টো ডায়রিয়া হয়ে যেতে পারে এবং পানি ও লবণের ঘাটতি হয়ে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। * অনেক সময় কিছু ওষুধ সেবন কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কী কী ওষুধ খান তার তালিকা চিকিৎসককে জানান। এগুলো বন্ধ করলে হয়তো সমস্যা দূর হবে। জেনে নিন কিছু লক্ষণ: কোষ্ঠকাঠিন...

কোষ্ঠকাঠিন্যে যা ছুঁয়ে দেখতে মানা

কোষ্ঠকাঠিন্যের যন্ত্রণায় অনেকে সারা বছর ভুগে থাকেন। মাঝেমধ্যে নানা কারণে মল কঠিন হতেই পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবারের ঘাটতি ও অপর্যাপ্ত পানি পান করার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এ ছাড়া মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, অন্ত্রের কোনো গুরুতর সমস্যা, যেমন: টিউমার বা বাধার কারণে এমন হয়। বিষণ্নতা ও মাদকসেবনের কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে প্রচুর। শাকসবজি, ফলমূল ও গোটা শস্যে প্রচুর আঁশ রয়েছে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার বা অন্ত্রের নড়াচড়ার জন্য বেশ কিছু উপায় আছে। তবে কিছু কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য মারাত্মক রূপ নিতে পারে। সম্প্রতি জিনিউজে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দেখে নিন কোষ্ঠকাঠিন্য হলে আপনার যা খাওয়া মানা: ব্যথানাশক ওষুধ: যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার ভুগছেন, তাঁরা অবশ্যই ব্যথানাশক (আইবুপ্রোফেন) এড়িয়ে চলবেন। নিয়মিত ব্যথানাশক সেবনে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। দুগ্ধজাত খাবার: দুগ্ধজাত খাবার, যেমন: ক্রিম, গরুর দুধ ...

কোষ্ঠকাঠিন্য: কী খাবেন না

অনেকেই প্রায় নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, বিশেষ করে বয়স্ক মানুষেরা। গর্ভবতী নারীদেরও এটা একটা সমস্যা। কোষ্ঠকাঠিন্যের ভয়ে তাঁরা অনেক কিছুই খেতে ভয় পান। কোনটা খেলে যে স্বস্তি পাবেন, আর কোনটা খেলে কষ্ট চরমে উঠবে, বুঝতে পারেন না। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা যে ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে পারেন: * দুধ: দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার (যেমন: পনির, আইসক্রিম ইত্যাদি) কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়াতে পারে অনেকের। এ ধরনের খাবারে আঁশের পরিমাণ কম। ছোট শিশু যারা শুধু কৌটার দুধ খায়, তাদের এ সমস্যা বেশি। তবে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় দুধ থাকা উচিত। টক দই হজমে সহায়ক। * মাংস: লাল মাংসে (গরু ও খাসির) চর্বি বেশি থাকে। এটা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। এই খাবার অন্ত্রে অনেকক্ষণ থাকে। মাংসের সঙ্গে পাতে যেন প্রচুর সবজি ও সালাদ থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। * চিপস: স্ন্যাকস বা নাশতা হিসেবে পটেটো চিপসজাতীয় খাবার ভালো নয়। এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দেবে। * হিমায়িত খাবার: সংরক্ষিত বা প্রক্রিয়াজাত খাবারে পানি শুকিয়ে ফেলা হয় ও লবণ বেশি থাকে। ফলে এ ধরনের খাবারে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়বে। * বেকারি পণ্য: বেকারি প...

কোষ্ঠকাঠিন্য: যখন–তখন ওষুধ নয়

কোষ্ঠকাঠিন্যের যন্ত্রণায় অনেকে সারা বছরই ভুগে থাকেন। মাঝেমধ্যে নানা কারণে মল কঠিন হতেই পারে। তার মানেই যে কোনো রোগে ভুগছেন, তা নয়। যদি সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ হয়, তখনই একে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে। এ জন্য অনেকে ওষুধ, সিরাপ এবং মলদ্বারে দেওয়ার সাপোজিটরি ওষুধ প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকেন, যা মোটেও উচিত নয়। নিয়মিত এসব ওষুধ ব্যবহার করলে সেটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। মলদ্বারের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয়। তাই চট করে ওষুধ না ব্যবহার করে খাদ্যাভ্যাস পাল্টে দেখুন সমস্যার প্রতিকার হয় কি না। কী খাবেন? বেশি করে শাকসবজি ও আঁশযুক্ত খাবার খান। খোসাসহ ফলমূলে আঁশ বেশি। গোটা শস্য, যেমন ভুট্টা বা গমের তৈরি খাবার, ডাল, বীজজাতীয় খাবারেও আঁশ আছে। ইসবগুলের ভুসিও খেতে পারেন। প্রচুর পানি পান করুন। কী কী খাবার কম খাবেন? লাল মাংস কম খেতে হবে। চিপস, ভাজাপোড়া খাবার, কফি, চকলেট ইত্যাদি এড়িয়ে চলা ভালো। যেসব খাবার তৈরিতে প্রচুর চিনি ব্যবহৃত হয়, সেসব খাবারও কোষ্ঠকাঠিন্য করে। যেমন বেকারির খাবার—কেক, পেস্ট্রি ইত্যাদি। অনেক সময় কাঁচা কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। যাঁরা আয়রন ক্যাপসুল খান, তাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া স্বাভাব...

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে রাখবে ডাঁটাশাক

মারিশ, মাইরা বা ডাঁটাশাকের স্বাদের কথা নতুন করে বলতেই হয়। একালের পিৎজা, বার্গারখেকো প্রজন্ম এর মাহাত্ম্য কমই জানে। অথচ একসময় লোকজনের বাজারের চটের ব্যাগে মাথা উঁচিয়ে থাকত ডাঁটাশাকের অাঁটি। ডাঁটাশাকের কী খাওয়া যায় না! মাথার গুচ্ছ, গুচ্ছ শাক ভাজি করে বা মাছের মাথা দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ লাগে। আবার চিংড়ি, আলু দিয়ে ঝোল করে রান্না করা ডাঁটার তরকারি তো অমৃত। ডাঁটাশাক যেমন পুষ্টিকর, তেমনি সুস্বাদু। এর শাক ও ডাঁটা—দুই অংশেই রয়েছে নানা রকমের পুষ্টির উপাদান। শাক ও ডাঁটায় প্রচুর পরিমাণে আঁশ ও জলীয় অংশ থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ক্যালরি কম থাকায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে। উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম ও লোহা থাকায় গর্ভবতী, প্রসূতি, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে ডাঁটাশাক। এ ছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি। ফলে ডাঁটাশাক খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ছোট-বড় সবার জন্যই এই শাক উপকারী। ১০০ গ্রাম খাদ্যোপযোগী ডাঁটাশাকে রয়েছে ৯৪ দশমিক তিন গ্রাম জলীয় অংশ, শূন্য দ...

কোষ্ঠকাঠিন্য ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে শিম

যাদের খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন শিম থাকে রোগ-বালাই একটু দূরেই থাকবে তাদের কাছ থেকে। নানা গুণাগুণে ভরা শিম কোষ্ঠকাঠিন্য ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে এবং ওজন কমায়। ভর্তা, ভাজি বা রান্না যেভাবেই পরিবেশন করা হোক খাবারের পদ হিসেবে শিম অতুলনীয়। শিম ভর্তা অপছন্দ এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। মৌসুমের শুরুতে বাজারে আসা কচি শিম দিয়ে মাছের ঝোল অতি উপাদেয়। আবার যারা নিরামিষভোজী, শিম তাদের খাদ্যতালিকায় রাখতেই হয়। কারণ সুস্বাদু এই সবজিটি আমিষেরও বড় উৎস। শিমে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আঁশ, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। প্রসূতি নারীদের অনেকে গর্ভবতীকালীন সময়ে তিন থেকে চার মাস বমিভাবের জন্য মাছ-মাংস একেবারেই খেতে পারেন না। আমিষের চাহিদা মেটাতে তাদের খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন শিম রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া বাড়ন্ত শিশু ও প্রবীণ ব্যক্তিদেরও খাবারে আমিষের চাহিদা মেটাতে নিয়মিত শিম রাখা উচিত। পাচক আঁশ বা ডায়েটারি ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত রোগীদের জন্য শিম ভীষণ উপকারী। এ ছাড়া কোলন ক্যানসার প্রতিরোধেও এটি কার্যকর। প্রচুর আঁশ থাকায় শিম কোলেস্টরল কমাতে সহায়তা করে। শিমে পাওয়া যায় ভিটামিন-এ যা চোখের দৃষ্টি...

কোষ্ঠকাঠিন্য কেন?

কোষ্ঠকাঠিন্য একটা যন্ত্রণাদায়ক ও বিরক্তিকর সমস্যা, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে মলত্যাগের সময় রক্তপাত এবং পাইলস ও এনাল ফিশারের মতো জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। আসুন জেনে নিই কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়, আর এ থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায়। খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবারের ঘাটতি ও অপর্যাপ্ত পানি পান করার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এ ছাড়া মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, অন্ত্রের কোনো গুরুতর সমস্যা যেমন: টিউমার বা বাধার কারণে এমন হয়। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মধ্যে এ সমস্যা খুব বেশি দেখা যায়। বিষণ্নতা এবং মাদক সেবনের কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। কিছু ওষুধ যেমন: ক্যালসিয়াম, আয়রন, অ্যালুমিনিয়ামসমৃদ্ধ অ্যান্টাসিড প্রভৃতি কোষ্ঠকাঠিন্যে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া খাদ্যনালির কিছু জটিল রোগেও পায়খানা বন্ধ বা অনিয়মিত হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ :- ১. আঁশযুক্ত খাবার এবং শাকসবজি কম খাওয়া ২. পানি কম খাওয়া ৩. দুশ্চিন্তা ৪. কায়িক পরিশ্রমের অভাব ৫. অন্ত্রনালিতে ক্যানসার ৬. ডায়াবেটিস ৭. মস্তিষ্কে টিউমার ও রক্তক্ষরণ ৮. দীর্ঘদিন শয্যাশা...

পাইলস বা অর্শ রোগে টোটকা চিকিৎসা নয়

পথে-ঘাটে পাইলস বা অর্শ রোগের চিকিৎসার নিশ্চয়তাসহ টোটকা, কবিরাজি ও নানা ধরনের অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসার সাইনবোর্ডের সমাহার দেখা যায়। পাইলস বা অর্শ একটি সাধারণ সমস্যা, যার সুচিকিৎসা করা হলে রোগী ভালো থাকেন। কীভাবে বুঝবেন? মলত্যাগের সময় ব্যথাহীন রক্তপাত, চুলকানি বা অস্বস্তিকর জ্বালাপোড়া, মলদ্বারে ব্যথা, পায়ুপথের বাইরের দিকে ফোলা বা বেরিয়ে আসা অনুভব করা, বা চাকার মতো অনুভূতি কেন হয় পাইলস? মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা, জন্মগতভাবে দুর্বল ধমনি, দীর্ঘদিনের কাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া, ভারী বস্তু বহন করতে হয় এমন কাজ, অতিরিক্ত ওজন, গর্ভাবস্থা ইত্যাদি।পাইলসের চিকিৎসা না করা হলে প্রায়ই মলের সঙ্গে রক্তপাতের জন্য ধীরে ধীরে রক্তশূন্যতা হতে পারে, প্রায়ই ব্যথা হয় এবং সংক্রমণ হয়। পাইলসের বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসার কিছু ধাপ রয়েছে। প্রথম দিকে ওষুধ ও নির্দিষ্ট জীবনাচরণ প্রণালি মেনে চললে কাজ হতে পারে, তবে জটিল আকার ধারণ করলে অস্ত্রোপচারও লাগতে পারে। পাইলসের রোগীরা কিছু পদ্ধতি মেনে চললে ভালো থাকতে পারেন। -পায়ুপথের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন -কুসুম গরম পানিতে দিনে কয়েকবার ভিজিয়ে নিন -ফুলে গে...