কোষ্ঠকাঠিন্য একটা যন্ত্রণাদায়ক ও বিরক্তিকর সমস্যা, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে মলত্যাগের সময় রক্তপাত এবং পাইলস ও এনাল ফিশারের মতো জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। আসুন জেনে নিই কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়, আর এ থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায়।
খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবারের ঘাটতি ও অপর্যাপ্ত পানি পান করার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এ ছাড়া মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, অন্ত্রের কোনো গুরুতর সমস্যা যেমন: টিউমার বা বাধার কারণে এমন হয়। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মধ্যে এ সমস্যা খুব বেশি দেখা যায়। বিষণ্নতা এবং মাদক সেবনের কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। কিছু ওষুধ যেমন: ক্যালসিয়াম, আয়রন, অ্যালুমিনিয়ামসমৃদ্ধ অ্যান্টাসিড প্রভৃতি কোষ্ঠকাঠিন্যে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া খাদ্যনালির কিছু জটিল রোগেও পায়খানা বন্ধ বা অনিয়মিত হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ :-
১. আঁশযুক্ত খাবার এবং শাকসবজি কম খাওয়া
২. পানি কম খাওয়া
৩. দুশ্চিন্তা
৪. কায়িক পরিশ্রমের অভাব
৫. অন্ত্রনালিতে ক্যানসার
৬. ডায়াবেটিস
৭. মস্তিষ্কে টিউমার ও রক্তক্ষরণ
৮. দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকা
৯. বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বিভিন্ন রোগের কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে যেমন: হাইপোথাইরয়েডিজম, পারকিনসন ডিজিজ, আইবিএস, মলাশয়ের ক্যানসার ইত্যাদি।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন: নারকোটিকস, মানসিক রোগের ওষুধ বা লৌহ-জাতীয় ওষুধ, অ্যালুমিনিয়াম বা ক্যালসিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিড দ্বারাও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
২. পানি কম খাওয়া
৩. দুশ্চিন্তা
৪. কায়িক পরিশ্রমের অভাব
৫. অন্ত্রনালিতে ক্যানসার
৬. ডায়াবেটিস
৭. মস্তিষ্কে টিউমার ও রক্তক্ষরণ
৮. দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকা
৯. বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বিভিন্ন রোগের কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে যেমন: হাইপোথাইরয়েডিজম, পারকিনসন ডিজিজ, আইবিএস, মলাশয়ের ক্যানসার ইত্যাদি।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন: নারকোটিকস, মানসিক রোগের ওষুধ বা লৌহ-জাতীয় ওষুধ, অ্যালুমিনিয়াম বা ক্যালসিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিড দ্বারাও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ :-
১. শক্ত ও কঠিন মল
২. মলত্যাগে অনেক বেশি সময় লাগা
৩. পায়খানা করতে অধিক চাপের দরকার হওয়া;
৪. অধিক সময় ধরে মলত্যাগ করার পরও অসম্পূর্ণ মনে হওয়া
৫. মলদ্বারের আশপাশে ও তলপেটে ব্যথা
৬. প্রায়ই আঙুল, সাপোজিটরি বা অন্য কোনো মাধ্যমে মল বের করার চেষ্টা
চিকিৎসকের পরামর্শ :-
দুই সপ্তাহে অবস্থায় উন্নতি না হলে, মলের সঙ্গে রক্ত গেলে, মলত্যাগের সময় ব্যথা হলে অথবা চিকন মল বের হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২. মলত্যাগে অনেক বেশি সময় লাগা
৩. পায়খানা করতে অধিক চাপের দরকার হওয়া;
৪. অধিক সময় ধরে মলত্যাগ করার পরও অসম্পূর্ণ মনে হওয়া
৫. মলদ্বারের আশপাশে ও তলপেটে ব্যথা
৬. প্রায়ই আঙুল, সাপোজিটরি বা অন্য কোনো মাধ্যমে মল বের করার চেষ্টা
চিকিৎসকের পরামর্শ :-
দুই সপ্তাহে অবস্থায় উন্নতি না হলে, মলের সঙ্গে রক্ত গেলে, মলত্যাগের সময় ব্যথা হলে অথবা চিকন মল বের হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এড়ানোর উপায় :-
১. প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। খেতে হবে আঁশসমৃদ্ধ খাবার, যেমন: ঢেঁকিছাঁটা চাল, লাল আটা, গোটা শস্য, শাকসবজি ও ফলমূল।
২. তেল-চর্বি জাতীয় খাবার, ভাজা-পোড়া ও মাংস কম খেতে হবে।
৩. রুটি খেলে কোষ্ঠ বেশি কঠিন হয়, এ ধারণা ভিত্তিহীন। কেননা আটা, বিশেষ করে লাল আটায় বেশি পরিমাণে আঁশ থাকে। তবে পরোটা বা নান রুটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
৪. ধূমপান করলে পায়খানা পরিষ্কার হয় বলে যে ধারণা প্রচলিত রয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুল। তামাকে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কোনো উপাদান নেই।
৫. নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম ও শরীরচর্চা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে যথেষ্ট সহায়ক হতে পারে। নিয়মিত খেতে পারেন ইসবগুলের ভুসি।
কোষ্ঠকাঠিন্যের পাশাপাশি যদি কারও মলত্যাগের আগে ও পরে রক্তপাত হয় অথবা মলের সঙ্গে রক্ত লেগে থাকে, মলত্যাগে ব্যথা অনুভব হয় অথবা ওজন কমতে থাকে, তবে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা। কিন্তু এর চিকিৎসা না করা হলে কিছু সমস্যা হতে পারে
১. মল ধরে রাখার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে
২. পাইলস
৩. এনালফিশার
৪. মলদ্বার বাইরে বের হয়ে আসা
৫. মানসিকভাবে অশান্তি
৬. প্রস্রাবের সমস্যা
৭. খাদ্যনালিতে প্যাঁচ লেগে পেট ফুলে যেতে পারে
৮. খাদ্যনালিতে আলসার বা ছিদ্র হয়ে যেতে পারে l
কোষ্ঠকাঠিন্য নিজে খুব জটিল রোগ না হলেও এর কারণে বহু জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই আগে থেকেই সাবধান হওয়া ভালো। এটি কোনো কোনো জটিল রোগের পূর্বাভাসও হতে পারে যেমন: মলাশয়ের ক্যানসার। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যকে অবহেলা নয়।
দীর্ঘস্থায়ী জটিলতা :-
*অনেক দিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ‘ফিকাল ইমপ্যাক্ট’ হয়ে যেতে পারে। তখন শল্যচিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।
* মাঝে মাঝে তরল মল নির্গত হতে পারে (ফিকাল ইনকনটিনেন্স)।
* সব সময় চাপ প্রয়োগের ফলে হেমোরয়েড বা ফিশার হতে পারে।
Comments
Post a Comment