Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2018

অর্শ বা পাইলস সারিয়ে তুলুন দশ উপায়ে

অর্শ বা পাইলস: কারণ, লক্ষণ, করণীয়, খাদ্যাভ্যাস, চিকিৎসা অর্শ বা পাইলস কি? মলাশয়ের নিম্নাংশ বা মলদ্বারের শিরাগুলো ফুলে গেলে সেগুলোকে অর্শ বা পাইলস বলে। এই অর্শ মলদ্বারের অভ্যন্তরেও হতে পারে আবার বাইরেও হতে পারে। অর্শ বা পাইলস কেন হয় (অর্শের কারণসমূহ): অর্শের সঠিক কারণ জানা না গেলেও নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অর্শ হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে : ১. দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া। ২. শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার এবং পানি কম খাওয়া। ৩. শরীরের অতিরিক্ত ওজন। ৪. গর্ভাবস্থা। ৫. লিভার সিরোসিস। ৬. মলত্যাগে বেশী চাপ দেয়া। ৭. অতিরিক্ত মাত্রায় লেকজেটিভ (মল নরমকারক ওষুধ) ব্যবহার করা বা এনেমা (শক্ত মল বের করার জন্য বিশেষ তরল মিশ্রণ ব্যবহার করা) গ্রহণ করা। ৮. টয়লেটে বেশি সময় ব্যয় করা। ৯. বৃদ্ধ বয়স। ১০. পরিবারে কারও পাইলস থাকা। ১১. ভার উত্তোলন, দীর্ঘ সময় বসে থাকা ইত্যাদি। অর্শ বা পাইলস কীভাবে বুঝব (অর্শের লক্ষণসমূহ) : মলদ্বারের অভ্যন্তরে হলে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারে : ১. পায়খানার সময় ব্যথাহীন রক্তপাত হওয়া। ২. মলদ্বারের ফোলা বাইরে বের হয়ে আসতে পারে, নাও...

পেটে যখন দুধ সয় না...

দুধ খেলে গ্যাস্ট্রিক বাড়ে। দুধে বদহজম হয়। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের রোগীদের দুধ খাওয়া নিষেধ এ রকম নানা কারণে আমরা দুধকে দায়ী করি। আসলে দুধ আমিষ ও ক্যালসিয়ামের চমত্কার উত্স। আর দুধ খেলে রক্তচাপ বা রক্তে শর্করা বাড়ে এটা মোটেও ঠিক নয়। কিন্তু বদহজম? হ্যাঁ, বদহজমের ভয়ে অনেক চিকিত্সকও অনেক সময় রোগীকে দুধ খেতে নিরুত্সাহিত করেন।  আসলেই কি দুধ হজমে সমস্যা করে? আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে নিঃসৃত হয় ল্যাকটোজ নামে এনজাইম বা উেসচক, যা দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার বিপাকে সাহায্য করে। কোনো কোনো রোগ যেমন ইনফ্লামেটরি বাউয়েল ডিজিজ, সিলিয়াক ডিজিজ ইত্যাদিতে ল্যাকটোজ এনজাইমের ঘাটতি বা অকার্যকারিতা হতে পারে। ফলে এসব রোগীর দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার সহজে হজম হয় না। দুধে আছে ল্যাকটোজ, আর তা হজমে সমস্যা হলে তাকে বলা হয় ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স। কারও কারও বংশগতভাবে এই সমস্যা থাকতে পারে। কীভাবে বুঝবেন, দুধ-অসহনীয়তা? ল্যাকটোজ সমৃদ্ধ খাবার মানে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে। যেমন বমি ভাব, পেটের ভেতর অস্বস্তি, কামড়ানো, পেট ফাপা বা গ্যাস, ডায়রিয়া ইত্যাদি। এই লক্...

গুণের দাদা আদা

বিশ্বের অন্যতম স্বাস্থ্যকর মসলা হিসেবে পরিচিত ‘আদা’। এর অনেক গুণ। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা সমাধানেও আদার ব্যবহার দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা আদাকে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে রায় দিয়েছেন। কারণ আদায় আছে বিশেষ রেচক গুণ, যা অন্ত্রের গতিবিধি সচল করে কোষ্ঠকাঠিন্য ভাব দূর করতে পারে।  কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আদা যেভাবে ব্যবহার করবেন:  ১. হালকা গরম পানিতে সদ্য গুঁড়ো করা সামান্য আদার সঙ্গে লেবুর খানিকটা রস মিশিয়ে দিনে দু-তিনবার পান করলে কার্যকর ফল পাওয়া যেতে পারে; ২. আদার রসের সঙ্গে লেবুর রস বা আখের রস বা মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে; ৩. সবজি রান্নায় সামান্য আদা যুক্ত করা যেতে পারে; ৪. সতেজ এক টুকরো আদা মুখে নিয়ে ধীরে ধীরে চিবিয়ে রস খেলে হজম শক্তি বাড়ে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়: ৫. আদা-চা অন্ত্রের নড়াচড়া প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। আদায় জিঞ্জারোল নামের উপাদান আছে। আদা অ্যান্টি অ্যাক্সিড্যান্ট, প্রদাহরোধী ও ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

বদহজমের সমাধান কী?

বদহজম একটি বিরক্তিকর সমস্যা, যা মাঝেমধ্যে প্রকট হয়ে ওঠে। পরিপাকতন্ত্রে বড় কোনো সমস্যা নেই, তবু সহজে কিছু হজম হয় না—এমন অভিযোগ অনেকে করেন। কিছু খেলেই তাঁদের পেট কামড়ায়, মল ত্যাগ করলে সেই অস্বস্তি কমে। কেউ খুব কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন, কারও আবার পাতলা পায়খানা হয় বেশি। এ ধরনের সমস্যার নাম ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস। এর সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তাই খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের ধরনে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এ বিষয়ে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র রায় বলেন, এ সমস্যা সাধারণত মানসিক অস্থিরতার কারণে হয়ে থাকে। কোনো অসুখের উপসর্গ হিসেবে, পরিবেশদূষণ, ভেজাল খাবার ইত্যাদি কারণে হতে পারে। এসব রোগীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করালে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণত তেমন কিছুই পাওয়া যায় না। এ জন্য তাঁরা আরও চিন্তিত হয়ে পড়েন, ভাবেন কি-না-কি হয়েছে কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ছে না। তবে বারবার ও দীর্ঘদিন ধরে বদহজমের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বদহজমের রোগীদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা এসব রোগী দুই ধরনের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আস...

পেটে ব্যথা কখন ঝুঁকিপূর্ণ?

বিভিন্ন কারণে পেটে ব্যথা হয়। প্রশ্ন : অনেক কারণ রয়েছে পেটে ব্যথার। জীবনের কোনো না কোনো ক্ষেত্রে, কোনো না কোনো সময়ে, এই পেটে ব্যথাগুলো সবারই হয়। একটু জানতে চাইব পেটে ব্যথার প্রধান কারণগুলো কী ? উত্তর : আমাদের কাছে সাধারণত যত রোগী আসে, এর এক তৃতীয়াংশ রোগী পেটের ব্যথা নিয়ে আসে। আর এই পেটের ব্যথা সাধারণ থেকে শুরু করে ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে। সবটাই নির্ভর করে রোগীর বয়স, ব্যথার সময়, অন্যান্য সমস্যা- যেমন জ্বর হচ্ছে কি না, বমি হচ্ছে কি না, পায়খানা কেমন হচ্ছে, এই সবই মিলে আমরা ধারণা করি পেটের ব্যথা সাধারণ না কি ঝুঁকিপূর্ণ। প্রশ্ন : পেটের ব্যথা হলে অনেকেই মনে করেন গ্যাসট্রিকের ব্যথা বা গ্যাসের সমস্যা। আপনাদের কাছে যখন আসে তখন কী কী সমস্যা নিয়ে আসে? উত্তর : অনেকে পেট ব্যথা হলেই ভাবে গ্যাসের কারণে ব্যথা। তবে এটি ভুল। পেটের ব্যথায় যদি রোগী গ্যাসের কারণে ব্যথা ভেবে ওষুধ খেয়ে ফেলে তখন আমাদের কাছে এটি একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। যেমন : একজন রোগী বলছে আমার পেটে গ্যাস আটকে গেছে। আমার কাছে যখন এলো, তখন সে রীতিমতো তিন চার মাস দেরি করে ফেলছে। আমি তার পেটে হাত দিয়ে দেখলাম চাপ দিলে কোনো ব্যথা পাচ্ছে না। কিন্তু তা...

পেট ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা

  পেট ব্যথার কারণ, পেট ব্যথার জরুরি লক্ষণ, পেট ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়, চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ এসব সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে। অধিকাংশ পেট ব্যথা ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, কৃমি, পেপটিক আলসার অথবা মাসিকের সঙ্গে সম্পর্কিত। এসব ক্ষেত্রে রোগীকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। তবে তীব্র পেটে ব্যথা, পেট ফুলে শক্ত হওয়া, হঠাৎ পেটে ব্যথা এবং পেট ব্যথা ক্রমেই বাড়ার ক্ষেত্রে রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। পেট ব্যথার কারণ সাধারণ কারণ ডায়রিয়া ও খাদ্যে বিষক্রিয়া কোষ্ঠকাঠিন্য বদহজম কৃমি পেপটিক আলসার মাসিকের ব্যথা শিশুদের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ে না যাওয়ার প্রবণতা থাকলে অনেক সময় মানসিক দুর্বলতার কারণে পেট ব্যথা হতে পারে। গুরুতর কারণ প্রস্রাবের নালিতে সংক্রমণ  অন্ত্রের যে কোনো স্থানে ছিদ্র পিত্তথলির পাথর/প্রদাহ কিডনি, মূত্রথলি ও নালিতে পাথর/প্রদাহ অ্যাপেন্ডিসাইটিস অগ্ন্যাশয়ে প্রদাহ  মেয়েদের ডিম্বাশয়ে সংক্রমণ বা সিস্ট গর্ভজনিত সমস্যা (যেমন : জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ, গর্ভপাত ইত্যাদি) পেট ব্যথার জরুরি লক্ষণ  অনবরত ব্যথা যা ধ...

পেটে ব্যথা হলে কী করবেন?

হঠাৎ পেটে ব্যথা। বুঝতে পারছেন না এটি গ্যাস্ট্রিক নাকি অন্য কিছু। কী ওষুধ খাবেন, কার কাছে যাবেন, তা-ও বুঝতে পারছেন না। পেটে ব্যথার সঠিক স্থান, ধরন-ধারণ, আনুষঙ্গিক উপসর্গ ইত্যাদি মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা তো আছেই। প্রথমেই খেয়াল করতে হবে ওপর পেটে ব্যথা হচ্ছে, না তলপেটে। ওপরে হলে ব্যথা এক আঙুল দিয়ে নির্দেশ করলে সেটা কোন জায়গায় ওপর ডান, নাকি ওপর বাম? ব্যথাটা কোন দিকে ছড়াচ্ছে? কামড়ে ধরে আছে নাকি চিনচিন করছে, না জ্বালা করছে? সঙ্গে বমি, অরুচি, পায়খানার সমস্যা ইত্যাদি আছে কি না। কোনো কিছু খেলে বাড়ে নাকি খালি পেটে বাড়ে? কেমন হতে পারে পেটে ব্যথার ধরন? * পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা সাধারণত পেটের ওপর দিকে মাঝখানে শুরু হয়। এটি খালি পেটে বাড়ে, কখনো চিনচিনে, কখনো জ্বালাপোড়ার মতো মনে হয়। এর সঙ্গে বমিভাব, টক ঢেকুর, পেট ফাঁপা ইত্যাদি থাকতে পারে। অ্যান্টাসিড বা অন্য গ্যাস্ট্রিকের ওষুধে বেশ উপশম মেলে। * একই জায়গায় বা একটু বাঁ দিকে অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ হতে পারে। কিন্তু এই ব্যথা প্রচণ্ড তীব্র, পেছন দিকেও অনুভূত হয়। রোগী ব্যথায় কুঁকড়ে যায়। সামনে ঝুঁকে থাকলে আরাম মেলে। সঙ্গে...

গর্ভাবস্থায় গ্যাসের সমস্যা । কারণ ও প্রতিকারের উপায়

গর্ভকালীন সময়ে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হলো গ্যাসের সমস্যা। এটি যেকোন সময়, যেকোন মানুষের জন্যই অনেক বেশি অস্বস্তির হতে পারে। আর গর্ভাবস্থায় গ্যাসের সমস্যা আরো বেশি করে ঘটে থাকে বলে মা শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে কিছুটা হীনমন্যতায় ভুগে থাকেন। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের পেটে প্রতিদিন ১ থেকে ৩ পিন্ট গ্যাস উৎপন্ন হয়। এবং দিনে একজন মানুষ সাধারণত ১২-১৪ বার ঢেঁকুর তোলে বা বায়ু ত্যাগ করে। কারো কারো ক্ষেত্রে গ্যাস বলতে বোঝায় বদহজমের কারণে পেটে ফোলা ভাব, তবে বেশীর ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে বায়ু ত্যাগ করাকেই গ্যাস বলে। বায়ু ত্যাগ করাকে ডাক্তারি ভাষাতে বেশীরভাগ সময় flatulence নামে অভিহিত করা হয়। গ্যাস flatulence এর মাধ্যমে বা ঢেঁকুরের মাধ্যমে শরীর থেকে বেড়িয়ে যায়। গ্যাস কেন হয়? গ্যাস সাধারণত দুভাবে পরিপাক নালীতে জমা হয়। যখন মুখ দিয়ে বাতাস ভেতরে ঢোকে এবং যখন বৃহদান্ত্রে ব্যাকটেরিয়া হজম না হওয়া খাবার ভাঙ্গতে থাকে। মুখ দিয়ে ঢোকা বেশীরভাগ বাতাস সাধারণত ঢেঁকুরের মাধ্যমে বেড়িয়ে যায় তবে অল্প কিছু বাতাস বৃহদান্ত্রে রয়ে যায় এবং বায়ু ত্যাগের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়। বায়ু ত্যাগের মাধ্যমে যেস...

শিশুর পেট ব্যথায় কী করবেন

শিশু পেটে ব্যথার কথা বললেই মা-বাবা মনে করে সে পড়া ফাঁকি দিতে এমন অজুহাত দিচ্ছে। প্রথমে অভিভাবকরা বিষয়টা আমলে নিতে চান না। পরে শিশুটি যখন বার বার একই কথা বলে বা কান্না করে তখন মা-বাবা চিন্তায় পড়ে যান। অনেক সময় ছোট্ট শিশুর কান্না যেন থামতেই চায় না, বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি করে তখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়। চিকিৎসকের মতে, শিশুর পেট ব্যথা একটি অতি সাধারণ সমস্যা। সামান্য কারণেও পেটে ব্যথা হতে পারে আবার শরীরের বিশেষ কোনো অঙ্গের অসুবিধার কারণেও ব্যথা হতে পারে। সাধারণত শিশুর পেটে গ্যাস, খাওয়ার ভুল পদ্ধতি, বদহজমের কারণে পেট ব্যথা হয়। এ ছাড়া নানান কারণে পেট ব্যথা হতে পারে যেমন : খাদ্যে বিষক্রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পাকস্থলীর সংক্রমণ ইত্যাদি। পেট ব্যথায় শিশুর কান্না দেখে ভয়ে দ্রুত চিকিৎসকের বাড়ি গিয়ে অতি পাওয়ারের এন্টিবায়েটিক না খাইয়ে বরং বাড়িতেই আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে প্রতিকার পেতে পারেন! এখন ভাবছেন কীভাবে সম্ভব, শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে তো হেলাফেলা নয়। আরে খোদ বিশেষজ্ঞরাই আপনাদের শিশুদের কথা চিন্তা করে কয়েকটি প্রাকৃতিক প্রতিকার দিয়েছেন। এগুলো সহজলভ্য ও আপনার শিশুকে আরাম দেয়। তাই বিনা দ্বিধায় গ্রহণ করতে পার...

বাচ্চাদের ঘনঘন পেট খারাপ বা বদহজম প্রতিরোধের উপায়

বড়দের তুলনায় শিশুরা বেশি সংবেদনশীল হয়। বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়দের তুলনায় কম হয়। যার কারণে খুব দ্রুত তারা জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়ে। শিশুদের সাধারণ ঠান্ডা, জ্বর, কাশি হলে সহজে বোঝা যায়। কিন্তু বদহজম হলে তা বোঝা কিছুটা কষ্টকর। বড়দের মত শিশুরা তাদের শারীরিক সমস্যার কথা ভাষা প্রকাশ করতে পারে না। পা টান টান করে কান্না করা, পেট শক্ত হয়ে যাওয়া, খাওয়ার পর কান্না করা, অতিরিক্ত নড়াচড়া ইত্যাদি লক্ষণ শিশুরা প্রকাশ করে থাকে। বাচ্চাদের বদহজমে হবার প্রধান কারণঃ বড়দের মত শিশুদের পেটেও গ্যাস জমে থাকে। মূলত এই গ্যাস থেকে শিশুর বদহজম হয়। অনেক বাবা মা বুঝতে পারেন না কী কারণে শিশুর পেটে গ্যাস জমা হয়? ছোট শিশুর পেটে গ্যাস হওয়ার প্রথম কারণ খাওয়ার ভুল পদ্ধতি। বদহজমের কারণে পেটে গ্যাস তৈরি হয়। যার কারণে শিশুর পেট ব্যথা হতে পারে। নবজাতক শিশুর বেলায় গ্যাস সৃষ্টি হয় বুকের দুধ খাওয়ার সময়। বাচ্চা যখন দুধ পান করে, তখন অনেক সময় স্তনবৃন্তটা মুখে সম্পূর্ণ দিতে পারে না। একটু ফাঁকা থাকে, আর এতেই বাতাস ঢুকে পেটে গ্যাস তৈরি করে। আবার যেসকল শিশু ফিডারে দুধ পান করে, দুধ পান করার সময় ক...

শিশুর পেটে গ্যাস

শিশুর পেটে গ্যাস হলে মায়েদের উদ্বিগ্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক। তারা তখন খুব চিন্তায় পড়ে যান তার বাচ্চার কি করলে ভাল লাগবে। কান্নাকাটি একটু থেমে যাবে কিংবা কোন্ ডাক্তারের কাছে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার অনেক মায়েদের বেলায় বলতে শোনা যায় যে বাচ্চার পেটে বাতাস লেগেছে তাই পেট ফুলে গেছে বা কোন খাবার খেতে পারছে না দুধে বাতাস লেগেছে যার কারণে দুধ মুখে দিলে খেতে পারছে না বমি করে ফেলে দিচ্ছে। তারা মসজিদের হুজুরের পানি পড়ার জন্য ছোটাছুটি করে। আসল কথা হলো পেটে গ্যাস বাচ্চাদেরও হয় আবার বড়দেরও হয়। বাচ্চারা বলতে পারে না যে তাদের কেমন লাগছে আর তাই আমরা বুঝতেও পারি না যেমন ছোট শিশুর জ্বর হলে ঠা-া লাগলে আমরা সহজেই বুঝতে পারি কিন্তু গ্যাস হয়েছে বা পেটের ব্যথায় বাচ্চা কান্নাকাটি করছে সেটা আমরা সহজেই বুঝতে পারি না। বাচ্চার পেটে গ্যাস হওয়ার প্রথম কারণটা হচ্ছে- খাওয়ার ভুল পদ্ধতি, বদহজম হয়ে পেটে গ্যাস তৈরি হওয়া যার দরুন ছোট্ট শিশুদের পেট ব্যথা করে। নবজাতক শিশুর বেলায় গ্যাস সৃষ্টি হয় মায়ের বুকের দুধ খাওয়ার সময়। কারণ বাচ্চা যখন দুধ পান করেন তখন হয়ত দুধের নিপিলটা মুখে পুরোটা না একটু ফাঁকা থাকে আর এতেই বাতাস ঢুকে পে...

নবজাতকের পেটে গ্যাস নিয়ে চিন্তিত, আছে নিরাময়ের উপায়..

পেটে গ্যাস মানুষে এক মহা সমস্যা। ছোট কি বড় সবাই এ সমস্যায় জড়িত। আর এই গ্যাসের সমস্যা যদি হয় নবজাতক শিশুদের তাহলে তো বাবা-মার জন্য খুবাই চিন্তার বিষয়। অনেক কারণেই এই সমস্যা হতে পারে। বাচ্চারা অনেক সময় দেখা যায় বেশী সময় ধরে কান্না করতে থাকে। কোলে নিয়ে তাদের কান্না থামানোর চেস্টা করলেও কোন লাভ হয় না। মূলত পেটে গ্যাস সমস্যার কারণে তারা এতটা কান্না করে। চলুন জেনে নেই এই গ্যাস হওয়ার কারণ, বোঝার উপায় এবং নিরাময় পদ্ধতি- যে কারণ বাচ্চাদের গ্যাস হতে পারে: • ভুল পদ্ধতিতে খাওয়ানো বা বদহজমের কারণে বাচ্চার পেটে গ্যাস হতে পারে। • নবজাতক শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মুখে বাতাস ঢুকে পেটে যেয়ে জমে গ্যাস হয়। • মায়ের দুধের ভেতর লেকটোস জাতীয় একটি পদার্থের কারণে গ্যাস তৈরি হয়। • ৬-৭ মাস বয়সী বাচ্চাদের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবারের কারণে গ্যাস হতে পারে। • বাচ্চাদের প্রয়োজনের তুলনায় জোর করে খাওয়ালে এই সমস্যা দেখা দেয়। বোঝার উপায় : • পেট ফেঁপে উঠলে • অস্বস্তি কারণে কান্না করলে • পেট শক্ত হয়ে গেলে • ঢেকুর তুললে গ্যাস সমস্যা নিরাময়ের উপায় : দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর মাথা ওপরের দিকে ধরে রাখুন। কান্না...

শিশুর পেটে গ্যাস । কারণ, লক্ষন ও করণীয়

শিশুর পেটে গ্যাস হলে মা-বাবা চিন্তায় পড়ে যান কী করলে ভালো লাগবে, কান্নাকাটি একটু থামবে কিংবা কোন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন ইত্যাদি। কেউ কেউ বলেন, বাচ্চার পেটে বাতাস লেগেছে, দুধে বাতাস লেগেছে, যার কারণে বমি করে দিচ্ছে।আসল কথা হলো, পেটে গ্যাস বাচ্চাদেরও হয় আবার বড়দেরও হয়। বাচ্চারা বলতে পারে না যে তাদের কেমন লাগছে আর তাই আমরা বুঝতেও পারি না। বাচ্চার পেটে গ্যাস কেন হয়? বাচ্চার পেটে গ্যাস হওয়ার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। জন্মের তিন মাস পর্যন্ত নবজাতকের গ্যাসের সমস্যা খুবই স্বাভাবিক কারণ এ সময় বাচ্চার পরিপাক্তন্ত্র ধীরে ধীরে সুগঠিত হয়। ৬-১২ মাস পর্যন্তও এটা স্বাভাবিক কারণ এ সময় বাচ্চা বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রথম বারের মত খাওয়া শুরু করে। বাচ্চার পেটে যখন গ্যাস হয় তখন তার পাকস্থলী বাতাসের কারণে ফুলে যায় যা বাচ্চার হজমের প্রক্রিয়ার কারণে হতে পারে বা খাওয়ার সময় বাচ্চার পেটে বাতাস ঢুকে যাওয়ার কারনেও হতে পারে। শিশুর পেটে গ্যাস হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ হলো- খুব দ্রুত খাওয়াঃ যদি বাচ্চার মায়ের বুকের দুধ বেশী থাকে বা বোতলে সময় খাওয়ানো বাচ্চার বোতলের নিপলের ছিদ্র যদি বড় থাকে তবে বাচ্চা খুব দ্রুত...

অ্যাসিডিটি দূর করার ১১টি অসাধারণ ঘরোয়া উপায়

অ্যাসিডিটির সমস্যায় কম বেশি সবাইকেই ভুগতে হয়। এটি একটি সাধারণ সমস্যা। আমাদের পাকস্থলিতে অতিরিক্ত বা ভারসাম্যহীন এসিড উৎপন্ন হওয়ার ফলে পেট ব্যথা, গ্যাস, বমিবমি ভাব, মুখে দুর্গন্ধ বা অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত বেশি ঝাল খাবার খাওয়া, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, দুঃচিন্তা, ব্যায়াম না করা বা অতিরিক্ত মদ্য পানের ফলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। এই অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তির জন্য অনেকেই ঔষধের দ্বারস্থ হন, কেননা আমরা জানি না যে ঔষধ ছাড়াও শুধু রান্নাঘর ও ফ্রিজে রাখা কিছু খাবারের মাধ্যমেই এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেই অ্যাসিডিটি নিরাময়ের ১১টি অসাধারণ কৌশল। ১) গরম পানি সাধারণত কুসুম গরম পানি রাতে ঘুমানোর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে খেলে এসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ২) দারুচিনি হজম ক্রিয়ার জন্য খুবই ভাল, এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা পেটের গ্যাস দূর করে। এক কাপ পানিতে আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে দিনে ২/৩ বার এটা খেতে পারেন। এছাড়া চাইলে সুপ/সালাদে দিয়েও খেতে পারেন। ৩) পুদিনা পাতা এর বায়ুনিরোধক ও প্রশান্তিদায়ক গুণ নিমিষেই বুক ও পেট জ্বালাপোড়া করা, পেট ফাঁপা ও বমি ভ...

পেট ফাঁপার কারন এবং এর প্রতিকার

পেট ফাঁপা, পেট গুড়গুড় করা এগুলি অনেকের ক্ষেত্রেই নিয়মিত সমস্যা। এই অস্বস্তিকর অবস্থায় পেট ভারী লাগে, হজমের সমস্যা হতে পারে। পেট ফাঁপলে তা ঠিক করতে বেশ বেগ পেতে হয়। এই সময়ে অনেক ক্ষেত্রে পেট শক্ত হয়ে যায়। আর এর জন্য দায়ী কয়েক ধরনের খাবার খাবার ও অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। সেই কারণেই পেটে গ্যাস হয়ে রেট ফাঁপে। ফলে কিছু খাবার রয়েছে যা খাওয়ার সময়ে আগে বা পরে জল খেতে হয়। যাতে পেটের মধ্যে বেরনো রসের সঙ্গে মিশে তা সহজে হজম হতে পারে।এসব ছাড়াও ছেলেদের ক্ষেত্রে টাইট প্যান্ট পরে থাকা, মেয়েদের ক্ষেত্রে টাইট টপ পরে থাকা, কোমরে টাইট বেল্ট পরা ও পানি কম খাওয়ার কারণে পেট ফাঁপতে পারে। দেখে নিন, কোন কোন খাবার পেট ফাঁপায় বিশেষ ইন্ধন জোগায়। আপেল : আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা বেশি পরিমাণে খেলে পেট ফাঁপতে পারে। এর সঙ্গে ন্যাসপাতি খেলে পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। শাক-সবজি : পালং শাক ও অন্যান্য কয়েকটি শাকসবজি স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী হলেও এগুলি পেটে গ্যাস তৈরির জন্য দায়ী। কারণ এতে থাকা রাফিনোজ ও ফ্রুকটান অন্ত্রে গ্যাস তৈরি করে। পেঁয়াজ : যেকোনও রান্নায় পেঁয়াজের ব্যবহার আমাদের হয়েই থাকে। ত...

পেট ফাঁপা সমস্যা দূর করার সহজ উপায়

পেটে গ্যাস (gas), হজমে সমস্যা হলে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয় যার কারণে পেট ফেঁপে (bloating) থাকে। এই সমস্যা নিরাময়ে ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া কিছু সমাধান গ্রহন করাই ভালো। পেট ফাঁপা খুবই বিরক্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা। খাবারে একটু এদিক সেদিক হলেও বদহজমের মতো সমস্যা শুরু হয়। বিশেষ করে প্রোটিন জাতীয় খাবার হজমে সমস্যা হলে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয় যার কারণেই পেট ফেঁপে থাকে অনেকটা সময়। জেনে নিন দ্রুত পেট ফাঁপার সমস্যা দূর করার খুব সহজ কিছু উপায়। ১) আলুর রস আলুর বিশেষ কিছু উপাদান পাকস্থলীর ভেতরের দিকে প্রতিরক্ষা দেয়ালের মতো কাজ করে এবং প্রদাহ জনিত ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। কাঁচা আলু ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে বা ছেঁচে রস ছেঁকে আধা কাপ পরিমাণে পান করুন দিনে ৩ বার। খুব সহজেই পেট ফাঁপার সমস্যা থেকে রেহাই পেয়ে যাবেন। ২) আদা ও আদা চা হজম সমস্যা দ্রুত দূর করতে আদার জুড়ি নেই। আর বদহজম দূর হয়ে গেলে আপনাআপনিই পেটে ফাঁপার সমস্যা কমে যায়। আদা ছেঁচে লবণ দিয়ে আদার রস পান করে নিতে পারেন। অথবা ২ কাপ পানিতে আদা ছেঁচে জ্বাল দিয়ে আদা চা তৈরি করে পান করুন সকাল বিকাল, অনেকটা উপশম হয়ে যাবে। ৩) কাঁচা হলুদ বা হলুদের চা ...

পেট পরিষ্কার রাখার সহজ ৭ টি উপায়!

বেশ কয়েকদিন ধরেই সকালটা বেশ খারাপ যাচ্ছে গোপাল চন্দ্রের। প্যাকেট প্যাকেট সিগারেট-বিড়ি ফুঁকেও পেট খালি হচ্ছে না। ফলে বারে বারে ছুট লাগাতে হচ্ছে বাথরুমে। ফলে অফিসে পৌঁছাতে হয়ে হচ্ছে দেরি। এইসব গোলমেলে ব্যাপার কী আর বসের সামনে টেকে! তাই ভাগ্যে জুটেছে ২ টো লাল কালি আর ওয়ার্নিং। এদিকে গোপালবুর পেট যে-কে-সেই! জয়ঢাকের আয়তন যেন ক্রমশ বাড়ছে। সেই সঙ্গে দুর্গন্ধযুক্ত বায়ু প্রবাহ তো রয়েছেই। এমন সমস্যায় আপনিও যে ভোগেন নি, তা নয়। এসব ক্ষেত্রে কখনও কবঝার তো কখনও অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে মিলেছে আরাম। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে, পটি পরিষ্কারের পাশপাশি গ্যাস-অম্বলের জ্বালা কমাতে বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি দারুন উপকারে লাগে। তাই এবার থেকে পেট পরিষ্কার রাখতে ভুরি ভুরি ট্যাবলেট না খেয়ে একবার এইসব সহজ পদ্ধতিগুলিতে কাজে লাগিয়ে দেখুন না, উপকার যে পাবেন, তা হলফ করে বলতে পারি। কী সেই সব ঘরোয়া পদ্ধতি? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে। ১.লেবু:  এতে উপস্থিত লেমোনাস, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি পেট পরিষ্কার রাখতে দারুন কাজে আসে। তাই কখনও যদি দেখেন ১-২ দিন ধরে পটি ঠিক মতো হচ্ছে না তাহলে ঝট...

পেট ভালো রাখার সহজ উপায়

খাওয়ার পর বা খাওয়া শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক পরও মনে হতে পারে খাবার হজম হয়নি। তার মানে আপনি হজমের সমস্যায় ভুগছেন। হজমের নানা সমস্যা ও তা থেকে প্রতিকার পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানিয়েছেন হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের বিশেষজ্ঞরা। যদি আপনি ভারী ভারী এবং অস্বস্তি বোধ করেন, অথবা জ্বালা বোধ করেন, বা হয়তো আপনার গা-গোলানো, বমি বোধ ভাব হচ্ছে! তখনই বুঝবেন আপনার পেট খারাপ বা বদ হজম হয়েছে। সঠিক কারণ জানা না থাকলে ডাক্তাররা এটাকে ‘ডিসপেপসিয়া’ অথবা ‘বদ হজম’ বলে থাকেন। পেটে দীর্ঘক্ষণের ব্যথা বা অজানা কারণে অস্বস্তিকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ‘ফাংশনাল ডিসপেপসিয়া’। ফাংশনাল ডিসপেপসিয়ার মূল কারণ অস্বাস্থ্যকর খাবার। অনেক সময় খেতে খেতেই শুরু হয়ে যায় অস্বস্তি, বাকিদের খাওয়ার আধঘণ্টা পরে হতে থাকে। তিন মাসের মধ্যে মাঝেমাঝেই ফিরে আসার প্রবল সম্ভবনা এই রোগের। আপনি যদি ফাংশনাল ডিসপেপসিয়ায় ভোগেন, তাহলে আপনি একা নন। মোটামুটি ভাবে জনগণের ২৫% আক্রান্ত, পুরুষ ও নারীরা সমানভাবে। ১০% আমেরিকান তাদের জীবনকালে একসময় পেপটিক আলসার বাধিয়ে থাকে। ফাংশনাল ডিসপেপসিয়ার কোনো নিশ্চিত চিকিৎসা না থাকাটা, তার কারণ না ...

পেটের গ্যাস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার উপায় ,,,,

পেটে গ্যাসের (stomach gas) সমস্যা খুব পরিচিত একটি শারীরিক সমস্যার নাম যার মুখোমুখি আমরা প্রায়ই হই। আজকাল বিভিন্ন ধরণের খাবার গ্রহণের ফলেও অনেক সময় আমাদের পেটে গ্যাস এর সমস্যায় দেখা যায়। এটি যে শুধু আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলে তাই ই নয় বরং অন্ত্রের বদহজম জনিত এই সমস্যা আপনাকে শারীরিকভাবে যথেষ্ট নাজেহাল ও করে থাকে। নানা ধরণের ওষুধ সেবন ও ঘন ঘন ডাক্তারের কাছে যাওয়া ছাড়াও আমরা ঘরোয়া ভাবে এই সমস্যার প্রতিকারে বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি। আসুন পেটে গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে কিছু পরামর্শ প্রদান করা যাক। শুয়ে পড়ুন (lie down): আপনি যদি পেটে গ্যাস এর জন্য অস্বস্তি বোধ করেন তাহলে মাথা উঁচু রেখে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। কিছুক্ষণ এভাবে থাকার পর দেখবেন আপনার পেটে গ্যাস এর অস্বস্তি চলে গেছে। তরল খাবার খাওয়া বৃদ্ধি করুন (increase fluid intake): যখন পেটে গ্যাস আপানকে যন্ত্রণা দেবে দেরি না করে বেশী বেশী তরল খাবার খাওয়া শুরু করুন। কারণ তরল খাবার গ্রহণের ফলে আপনার হজম না হওয়া খাবার গুলো কোলন থেকে পরিপাকতন্ত্রের স্থানান্তরিত করতে সাহায্য করে। আপনি প্রচুর পানিও পান করতে পারেন। কার্বনেটেড ...

পেটে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বাড়ায়-কমায় যে খাবারগুলো

গ্যাসের সমস্যা অনেকেরই আছে। এতে অনেক কাঠখোড়া পোহাতে হয়। গ্যাসের সমস্যা হলে অনেক অশান্তি ও অস্বস্তি অনুভব হয়। গ্যাসের কারণে অনেকের পেট ব্যাথা, পেট ফোলা, পেটের পীড়া হয়ে যায়। যদিও এই সমস্যা এমনি রোগের কারণেই হয় তবে অনেক ক্ষেত্রে ভাজা পোড়া বা এমন খাবার যা গ্যাসের উৎপন্ন করে তা খেলেই এই ব্যাথা বেড়ে যায়। কিন্তু ভাজাপোড়া ছাড়াও কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার রয়েছে, যেগুলো পেট ফোলাভাবের জন্য দায়ী। কিছু পদ্ধতি মেনে চললে অবশ্য শারীরিক সমস্যা ছাড়াই এই স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো উপভোগ করা যায়। আসুন জেনে নেই খাবারগুলো কি – ১। মটরশুটি মটরশুটি কখনো কখনো পেট ফোলাভাব বা পেটে গ্যাস তৈরি করতে পারে। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে রান্নার আগে মটরশুটিকে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে মটরশুটি সহজে হজম হবে। কারণে এতে আছে প্রোটিন, আঁশ ইত্যাদি। ২। রসুন রসুনখাওয়ার পর অনেকেরই পেট ফোলাভাব বা গ্যাসের সমস্যা হয়। রসুনের মধ্যে রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্যকর উপাদান। তাই পেটে গ্যাস হবে ভেবে একে এড়িয়ে যাবেন না। পেটের ফোলাভাব প্রতিরোধে রসুন রান্না করে খান কোনভাবেই কাঁচা খাবেন না। গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়া...