Skip to main content

পেটের গ্যাস থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার উপায় ,,,,


পেটে গ্যাসের (stomach gas) সমস্যা খুব পরিচিত একটি শারীরিক সমস্যার নাম যার মুখোমুখি আমরা প্রায়ই হই। আজকাল বিভিন্ন ধরণের খাবার গ্রহণের ফলেও অনেক সময় আমাদের পেটে গ্যাস এর সমস্যায় দেখা যায়। এটি যে শুধু আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলে তাই ই নয় বরং অন্ত্রের বদহজম জনিত এই সমস্যা আপনাকে শারীরিকভাবে যথেষ্ট নাজেহাল ও করে থাকে।

নানা ধরণের ওষুধ সেবন ও ঘন ঘন ডাক্তারের কাছে যাওয়া ছাড়াও আমরা ঘরোয়া ভাবে এই সমস্যার প্রতিকারে বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি। আসুন পেটে গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে কিছু পরামর্শ প্রদান করা যাক।
  • শুয়ে পড়ুন (lie down): আপনি যদি পেটে গ্যাস এর জন্য অস্বস্তি বোধ করেন তাহলে মাথা উঁচু রেখে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। কিছুক্ষণ এভাবে থাকার পর দেখবেন আপনার পেটে গ্যাস এর অস্বস্তি চলে গেছে।
  • তরল খাবার খাওয়া বৃদ্ধি করুন (increase fluid intake): যখন পেটে গ্যাস আপানকে যন্ত্রণা দেবে দেরি না করে বেশী বেশী তরল খাবার খাওয়া শুরু করুন। কারণ তরল খাবার গ্রহণের ফলে আপনার হজম না হওয়া খাবার গুলো কোলন থেকে পরিপাকতন্ত্রের স্থানান্তরিত করতে সাহায্য করে। আপনি প্রচুর পানিও পান করতে পারেন।
  • কার্বনেটেড পানীয় (carbonated drinks): পেটে গ্যাস প্রতিরোধে কার্বনেটেডপানীয় পান করুন। এটি আপনার পেটে গ্যাস এর সমস্যা দূর করার সাথে সাথে পেটে গ্যাস এর জন্য আপনার বুকে সৃষ্টি হওয়া ব্যথাও দূর করে। তবে অতিরিক্ত কার্বনেটেড পানীয় যেমন কোক, পেপসি পান করা ভালো নয় মোটেও।
  • খাবারে সরিষা যোগ করুন (add mustard): সরিষা গ্যাস উপশম করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরিষা যোগ করা হয় যাতে সেইসব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে।
  • আদা (Ginger): পেটে গ্যাস ও বদহজমজনিত সমস্যা সমাধানে আদা খুব উপকারী। খাবারে আদা যোগ করে বা কিছু পরিমাণ আদা চিবিয়ে রসটুকু গ্রহণ করলে পেটে গ্যাস প্রতিরোধ করা যায়।
ব্যায়াম করুন (increase exercises): পেটে গ্যাস থেকে মুক্তি পেতে আপনি ব্যায়াম করা শুরু করুন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলে সহজেই পেটে গ্যাস থেকে মুক্তি পেতে পারেন।


পেটে গ্যাস থেকে মুক্তি পেতে উপরের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন আর সহজেই বদ হজম জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করুন।

Comments

Popular posts from this blog

আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা

আলসার বা পেটের ভিতরে হওয়া ঘা রোগীর জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। পেটের দেওয়ালে হওয়া ঘায়ের সঙ্গে খাবারের মধ্যে থাকা মশলা , তরল ইত্যাদির সংস্পর্শ হলে বা অ্যাসিডিটি হলে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয় , গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যা হয় , পেট জ্বালা করতে থাকে যা সহ্য করা একেক সময় অসম্ভব হয়ে ওঠে। আলসারের মধ্যে সবচেয়ে চেনা নাম হল ' গ্যাসট্রিক আলসার ' । আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে আলসার ধরা পড়ার পর চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো যায়। বস্তুত , আলসার সারানোর নানা উপায় রয়েছে। আলসার সেরে যাওয়ার পর ঠিকমতো ডায়েট চার্ট মেনে চলাও সবার অবশ্য কর্তব্য। একইসঙ্গে ধূমপান না করা , মদ্যপানে বিরত থাকার কথাও চিকৎসকেরা বারবার করে বলে দেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক , কোন কোন খাবার ডায়েট চার্টে থাকলে আলসার সারতে পারে সহজেই। মধু মধু এমন একটি অ্যান্টিসেপটিক যা যে কোনও জ্বালা-পোড়া বা ঘা সারাতে লড়াই করে। মধু খেলে আলসার আর বাড়ে না। বরং ধীরে ধীরে কমবে। টক দই কম ফ্যাটের ডেয়ারি প্রোডাক্ট, বিশেষ করে দই আলসার সারাতে অসাধারণ কাজ করে। চর্বিহীন মাংস ও পোলট্রি  প্রোডাক্ট চর্বিহীন মাংস ও পোল...

আমাশয় এবং আইবিএস কি ? #004

শহরের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুরাদ হোসেন, বয়স পঞ্চাশ, উদ্বিগ্ন মনে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বারে বসে আছেন। কয়েকদিন যাবৎ তার পেটটা ভাল যাচ্ছে না। এর আগেও তার পাতলা পায়খানার সমস্যা হয়েছে। কিন্তু এবার তিনি লক্ষ্য করেছেন- পায়খানার সাথে লাল লাল রক্ত যাচ্ছে। তাই তিনি চিন্তিত মনে তার সমস্যা নির্ণয়ের চেষ্টায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন। পারভিন আক্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। বয়স চব্বিসের কাছাকাছি হবে। কয়েক মাস ধরে তার পেটে সমস্যা হচ্ছে। দিনে দু থেকে তিনবার পায়খানা হয়, প্রত্যেকবার পায়খানার আগে পেটটা মোচড় দিয়ে ব্যথা হয়, পায়খানা হয়ে গেলে ব্যথা কমে যায়। পেটে শব্দ হয় এবং পায়খানা কিছুদিন পাতলা হয়, আবার কিছুদিন ভাল থাকে। পায়খানার সাথে আম যায়। এমতাবস্থায় দৈনন্দিন কাজে সমস্যা হওয়ায় একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট পরামর্শের জন্য এসেছেন। দীর্ঘমেয়াদী লিভার প্রদাহের সমস্যায় ভুগছেন চল্লিশ বছর বয়সী রাকিব মোল্লা। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করে যাচ্ছেন। কয়েক মাস হল তার পায়খানা পাতলা হতে শুরু করেছে। কিছুদিন ভাল থাকে, কিছুদিন পাতলা হয়, কিছুদিন কষা হয়। পায়খানার সাথে আম যায়। পেটে খু...

ওজন কমানোর ছয় টি ভুল ধারণা

বাড়তি ওজন কমে গেলে কার না ভালো লাগে! তাই ওজন কমাতে অনেকে হয়তো উঠেপড়ে লাগেন। আর ভুলভাল রীতি মেনে চলতে থাকেন।এতে অনেকের বাড়তি মেদ   কমলেও শরীরের ওপর বাজে প্রভাব পড়ে। আবার চেষ্টার পরও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পায় না অনেকে। ওজণ   কমানোর কিছু ভুল ধারণার কথা   জেনে নিন। 1: কার্বোহাইড্রেট শত্রু অনেকেই ওজণ কমানোর সময় কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিয়ে দেন বা ভাবেন Weight কমাতে গেলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিতেই হবে। সত্য হলো , শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে গেলে বা স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে গেলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিলে চলবে না। স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেটের উৎস যেমন : ফল , সবজি , বাদাম , গম জাতীয় খাবার এগুলো শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।   ওজন   কমাতে প্রোটিনের সঙ্গে কার্বোহাইড্রেটের ভারসাম্য রাখতে হবে। তবে পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে একমত বিশেষজ্ঞরা। পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট যেমন : সাদা ভাত , সাদা পাস্তা , প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাক , মিষ্টি ইত্যাদি। এগুলো কম খাওয়াই ভালো। 2: দ্রুত ফলাফল পেতে জিমে গিয়ে কঠোর ব্যায়াম করা প্রতিদিন সমপর...