Skip to main content

নবজাতকের পেটে গ্যাস নিয়ে চিন্তিত, আছে নিরাময়ের উপায়..



পেটে গ্যাস মানুষে এক মহা সমস্যা। ছোট কি বড় সবাই এ সমস্যায় জড়িত। আর এই গ্যাসের সমস্যা যদি হয় নবজাতক শিশুদের তাহলে তো বাবা-মার জন্য খুবাই চিন্তার বিষয়। অনেক কারণেই এই সমস্যা হতে পারে।

বাচ্চারা অনেক সময় দেখা যায় বেশী সময় ধরে কান্না করতে থাকে। কোলে নিয়ে তাদের কান্না থামানোর চেস্টা করলেও কোন লাভ হয় না। মূলত পেটে গ্যাস সমস্যার কারণে তারা এতটা কান্না করে।
চলুন জেনে নেই এই গ্যাস হওয়ার কারণ, বোঝার উপায় এবং নিরাময় পদ্ধতি-

যে কারণ বাচ্চাদের গ্যাস হতে পারে:

• ভুল পদ্ধতিতে খাওয়ানো বা বদহজমের কারণে বাচ্চার পেটে গ্যাস হতে পারে।

• নবজাতক শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মুখে বাতাস ঢুকে পেটে যেয়ে জমে গ্যাস হয়।

• মায়ের দুধের ভেতর লেকটোস জাতীয় একটি পদার্থের কারণে গ্যাস তৈরি হয়।

• ৬-৭ মাস বয়সী বাচ্চাদের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবারের কারণে গ্যাস হতে পারে।

• বাচ্চাদের প্রয়োজনের তুলনায় জোর করে খাওয়ালে এই সমস্যা দেখা দেয়।
বোঝার উপায় :

• পেট ফেঁপে উঠলে

• অস্বস্তি কারণে কান্না করলে

• পেট শক্ত হয়ে গেলে

• ঢেকুর তুললে

গ্যাস সমস্যা নিরাময়ের উপায় :

দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর মাথা ওপরের দিকে ধরে রাখুন।

কান্না করলে আপনার নবজাতক শিশুকে দৃঢ়ভাবে কাপড়ে জড়িয়ে ধরুন। এই উষ্ণতায় সে আরামদায়ক অনুভব করবে।

শিশুকে কোলে নিয়ে ধীরে ধীরে দোলাতে থাকুন।

গোসলের আগে প্রতিবার শিশুর শরীর ভালোভাবে তেল দিয়ে মালিস করুন। এতে শিশুর শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং গ্যাস জমতে দিবে না।

পেটে গ্যাস জমেছে বুঝতে পারলে তাকে খাটে শুইয়ে ব্যায়াম করান। তার দুই পা ধরে পেটের কাছে নিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন যাতে পেটে চাপ পরে। আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনুন। এছাড়া এয়ার সাইক্লিং করাতে পারেন। এভাবে ব্যায়াম করালে তাদের পেটে চাপ পরবে এবং জমে থাকা গ্যাস বের হয়ে যায়।

শিশুকে দুধ বা বাড়তি খাবার খাওয়ানোর পর তাকে ঘাড়ে কাত করে নিয়ে ঢেকুর তুলন।

অতিরিক্ত কান্না করলে, বমি করলে বা রক্তপাত হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। মনে রাখবেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া শিশুকে কোনো ওষুধ খাওয়াবেন না।

Comments

Popular posts from this blog

আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা

আলসার বা পেটের ভিতরে হওয়া ঘা রোগীর জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। পেটের দেওয়ালে হওয়া ঘায়ের সঙ্গে খাবারের মধ্যে থাকা মশলা , তরল ইত্যাদির সংস্পর্শ হলে বা অ্যাসিডিটি হলে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয় , গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যা হয় , পেট জ্বালা করতে থাকে যা সহ্য করা একেক সময় অসম্ভব হয়ে ওঠে। আলসারের মধ্যে সবচেয়ে চেনা নাম হল ' গ্যাসট্রিক আলসার ' । আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে আলসার ধরা পড়ার পর চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো যায়। বস্তুত , আলসার সারানোর নানা উপায় রয়েছে। আলসার সেরে যাওয়ার পর ঠিকমতো ডায়েট চার্ট মেনে চলাও সবার অবশ্য কর্তব্য। একইসঙ্গে ধূমপান না করা , মদ্যপানে বিরত থাকার কথাও চিকৎসকেরা বারবার করে বলে দেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক , কোন কোন খাবার ডায়েট চার্টে থাকলে আলসার সারতে পারে সহজেই। মধু মধু এমন একটি অ্যান্টিসেপটিক যা যে কোনও জ্বালা-পোড়া বা ঘা সারাতে লড়াই করে। মধু খেলে আলসার আর বাড়ে না। বরং ধীরে ধীরে কমবে। টক দই কম ফ্যাটের ডেয়ারি প্রোডাক্ট, বিশেষ করে দই আলসার সারাতে অসাধারণ কাজ করে। চর্বিহীন মাংস ও পোলট্রি  প্রোডাক্ট চর্বিহীন মাংস ও পোল...

আমাশয় এবং আইবিএস কি ? #004

শহরের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুরাদ হোসেন, বয়স পঞ্চাশ, উদ্বিগ্ন মনে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বারে বসে আছেন। কয়েকদিন যাবৎ তার পেটটা ভাল যাচ্ছে না। এর আগেও তার পাতলা পায়খানার সমস্যা হয়েছে। কিন্তু এবার তিনি লক্ষ্য করেছেন- পায়খানার সাথে লাল লাল রক্ত যাচ্ছে। তাই তিনি চিন্তিত মনে তার সমস্যা নির্ণয়ের চেষ্টায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন। পারভিন আক্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। বয়স চব্বিসের কাছাকাছি হবে। কয়েক মাস ধরে তার পেটে সমস্যা হচ্ছে। দিনে দু থেকে তিনবার পায়খানা হয়, প্রত্যেকবার পায়খানার আগে পেটটা মোচড় দিয়ে ব্যথা হয়, পায়খানা হয়ে গেলে ব্যথা কমে যায়। পেটে শব্দ হয় এবং পায়খানা কিছুদিন পাতলা হয়, আবার কিছুদিন ভাল থাকে। পায়খানার সাথে আম যায়। এমতাবস্থায় দৈনন্দিন কাজে সমস্যা হওয়ায় একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট পরামর্শের জন্য এসেছেন। দীর্ঘমেয়াদী লিভার প্রদাহের সমস্যায় ভুগছেন চল্লিশ বছর বয়সী রাকিব মোল্লা। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করে যাচ্ছেন। কয়েক মাস হল তার পায়খানা পাতলা হতে শুরু করেছে। কিছুদিন ভাল থাকে, কিছুদিন পাতলা হয়, কিছুদিন কষা হয়। পায়খানার সাথে আম যায়। পেটে খু...

ওজন কমানোর ছয় টি ভুল ধারণা

বাড়তি ওজন কমে গেলে কার না ভালো লাগে! তাই ওজন কমাতে অনেকে হয়তো উঠেপড়ে লাগেন। আর ভুলভাল রীতি মেনে চলতে থাকেন।এতে অনেকের বাড়তি মেদ   কমলেও শরীরের ওপর বাজে প্রভাব পড়ে। আবার চেষ্টার পরও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পায় না অনেকে। ওজণ   কমানোর কিছু ভুল ধারণার কথা   জেনে নিন। 1: কার্বোহাইড্রেট শত্রু অনেকেই ওজণ কমানোর সময় কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিয়ে দেন বা ভাবেন Weight কমাতে গেলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিতেই হবে। সত্য হলো , শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে গেলে বা স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে গেলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিলে চলবে না। স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেটের উৎস যেমন : ফল , সবজি , বাদাম , গম জাতীয় খাবার এগুলো শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।   ওজন   কমাতে প্রোটিনের সঙ্গে কার্বোহাইড্রেটের ভারসাম্য রাখতে হবে। তবে পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে একমত বিশেষজ্ঞরা। পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট যেমন : সাদা ভাত , সাদা পাস্তা , প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাক , মিষ্টি ইত্যাদি। এগুলো কম খাওয়াই ভালো। 2: দ্রুত ফলাফল পেতে জিমে গিয়ে কঠোর ব্যায়াম করা প্রতিদিন সমপর...