Skip to main content

Posts

পাইলস এর কারন ও প্রতিকার

Recent posts

পাইলস কি, এর কারণ,লক্ষণ এবং করণীয়

অর্শ বা পাইলস কি? মলাশয়ের নিম্নাংশ বা মলদ্বারের শিরাগুলো ফুলে গেলে সেগুলোকে অর্শ বা পাইলস বলে। এই অর্শ মলদ্বারের অভ্যন্তরেও হতে পারে আবার বাইরেও হতে পারে। অর্শ বা পাইলস কেন হয় (অর্শের কারণসমূহ): অর্শের সঠিক কারণ জানা না গেলেও নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অর্শ হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেঃ ১. দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া ২. শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার এবং পানি কম খাওয়া ৩. শরীরের অতিরিক্ত ওজন ৪. গর্ভাবস্থা ৫. লিভার সিরোসিস ৬. মল ত্যাগে বেশী চাপ দেয়া ৭. অতিরিক্ত মাত্রায় লেকজেটিভ (মল নরমকারক ওষুধ)ব্যবহার করা বা এনেমা (শক্ত মল বের করার জন্য বিশেষ তরল মিশ্রণ ব্যবহার করা) গ্রহণ করা ৮. টয়লেটে বেশী সময় ব্যয় করা ৯. বৃদ্ধ বয়স ১০. পরিবারে কারও পাইলস থাকা ১১. ভার উত্তোলন, দীর্ঘ সময় বসে থাকা ইত্যাদি। অর্শ বা পাইলস কিভাবে বুঝব (অর্শের লক্ষণসমূহ): i) মলদ্বারের অভ্যন্তরে হলে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারেঃ ১. পায়খানার সময় ব্যথাহীন রক্তপাত হওয়া ২. মলদ্বারের ফোলা বাইরে বের হয়ে আসতে পারে, নাও পারে। যদি বের হয় তবে তা নিজেই ভেতরে চলে যায় অথবা হাত দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া ...

পাইলস কি, কিভাবে হয়, লক্ষণ এবং চিকিৎসা

অর্শ বা পাইলস কি (What is piles) ? পাইলস বা হেমোরয়েড (বাংলায় অর্শ্ বা গেজ) হলো পায়ুপথে এবং মলাশয়ের নিম্নাংশে অবস্থিত প্রসারিত এবং প্রদাহযুক্ত শিরা। মলাশয়ের নিম্নাংশ বা মলদ্বারের শিরাগুলো ফুলে গেলে সেগুলোকে অর্শ বা পাইলস বলে। এই অর্শ মলদ্বারের ভেতরেও হতে পারে আবার বাইরেও হতে পারে . এটি মলদ্বারের ভেতরেই থাকে। কিন্তু যখন রোগ হিসাবে প্রকাশ পায় তখন ঝুলে বাইরে বের হয়ে আসতে পারে। পাইলস কেন হয় ? অর্শের সঠিক কারণ জানা না গেলেও নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অর্শ হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে : দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া অথবা পায়খানা কষার সমস্যা দেখা দিলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন ও অস্বাভাবিক রকম মোটা হলে গর্ভবতী অবস্থায় মল ত্যাগে বেশী চাপ দেয়া অতিরিক্ত মাত্রায় লেকজেটিভ (মল নরমকারক ওষুধ)ব্যবহার করা বা এনেমা (শক্ত মল বের করার জন্য বিশেষ তরল মিশ্রণ ব্যবহার করা) গ্রহণ করা দীর্ঘ সময় টয়লেট এ বসে থাকা এবং চাপ প্রয়োগ করে টয়লেট করা বংশানুক্রমিক ভাবেও এ রোগ ছড়ায়। শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার এবং পানি কম খাওয়া বৃদ্ধ বয়সে ভার উত্তোলন, দীর্ঘ সময় বসে থাকা ইত্যাদি। লিভার সিরোসিস ইত্যাদি নানান ক...

পাইলস বা অর্শ রোগ কি এবং কেন হয় ?

পথে-ঘাটে পাইলস বা অর্শ (Hemorrhoids) রোগের চিকিৎসার নিশ্চয়তাসহ টোটকা, কবিরাজি ও নানা ধরনের অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসার সাইনবোর্ডের সমাহার দেখা যায়। পাইলস বা অর্শ একটি সাধারণ সমস্যা, যার সুচিকিৎসা করা হলে রোগী ভালো থাকেন। কীভাবে বুঝবেন মলত্যাগের সময় ব্যথাহীন রক্তপাত, চুলকানি বা অস্বস্তিকর জ্বালাপোড়া, মলদ্বারে ব্যথা, পায়ুপথের বাইরের দিকে ফোলা বা বেরিয়ে আসা অনুভব করা, বা চাকার মতো অনুভূতি। কেন হয় পাইলস মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা, জন্মগতভাবে দুর্বল ধমনি, দীর্ঘদিনের কাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া, ভারী বস্তু বহন করতে হয় এমন কাজ, অতিরিক্ত ওজন, গর্ভাবস্থা ইত্যাদি।পাইলসের চিকিৎসা না করা হলে প্রায়ই মলের সঙ্গে রক্তপাতের জন্য ধীরে ধীরে রক্তশূন্যতা হতে পারে, প্রায়ই ব্যথা হয় এবং সংক্রমণ হয়। পাইলসের বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসার কিছু ধাপ রয়েছে। প্রথম দিকে ওষুধ ও নির্দিষ্ট জীবনাচরণ প্রণালি মেনে চললে কাজ হতে পারে, তবে জটিল আকার ধারণ করলে অস্ত্রোপচারও লাগতে পারে। পাইলসের রোগীরা কিছু পদ্ধতি মেনে চললে ভালো থাকতে পারেন। পায়ুপথের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন কুসুম গরম পানিতে দিনে কয়েকবার ভিজ...

অর্শ বা পাইলস সারিয়ে তুলুন দশ উপায়ে

অর্শ বা পাইলস: কারণ, লক্ষণ, করণীয়, খাদ্যাভ্যাস, চিকিৎসা অর্শ বা পাইলস কি? মলাশয়ের নিম্নাংশ বা মলদ্বারের শিরাগুলো ফুলে গেলে সেগুলোকে অর্শ বা পাইলস বলে। এই অর্শ মলদ্বারের অভ্যন্তরেও হতে পারে আবার বাইরেও হতে পারে। অর্শ বা পাইলস কেন হয় (অর্শের কারণসমূহ): অর্শের সঠিক কারণ জানা না গেলেও নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অর্শ হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে : ১. দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া। ২. শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার এবং পানি কম খাওয়া। ৩. শরীরের অতিরিক্ত ওজন। ৪. গর্ভাবস্থা। ৫. লিভার সিরোসিস। ৬. মলত্যাগে বেশী চাপ দেয়া। ৭. অতিরিক্ত মাত্রায় লেকজেটিভ (মল নরমকারক ওষুধ) ব্যবহার করা বা এনেমা (শক্ত মল বের করার জন্য বিশেষ তরল মিশ্রণ ব্যবহার করা) গ্রহণ করা। ৮. টয়লেটে বেশি সময় ব্যয় করা। ৯. বৃদ্ধ বয়স। ১০. পরিবারে কারও পাইলস থাকা। ১১. ভার উত্তোলন, দীর্ঘ সময় বসে থাকা ইত্যাদি। অর্শ বা পাইলস কীভাবে বুঝব (অর্শের লক্ষণসমূহ) : মলদ্বারের অভ্যন্তরে হলে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারে : ১. পায়খানার সময় ব্যথাহীন রক্তপাত হওয়া। ২. মলদ্বারের ফোলা বাইরে বের হয়ে আসতে পারে, নাও...

পেটে যখন দুধ সয় না...

দুধ খেলে গ্যাস্ট্রিক বাড়ে। দুধে বদহজম হয়। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের রোগীদের দুধ খাওয়া নিষেধ এ রকম নানা কারণে আমরা দুধকে দায়ী করি। আসলে দুধ আমিষ ও ক্যালসিয়ামের চমত্কার উত্স। আর দুধ খেলে রক্তচাপ বা রক্তে শর্করা বাড়ে এটা মোটেও ঠিক নয়। কিন্তু বদহজম? হ্যাঁ, বদহজমের ভয়ে অনেক চিকিত্সকও অনেক সময় রোগীকে দুধ খেতে নিরুত্সাহিত করেন।  আসলেই কি দুধ হজমে সমস্যা করে? আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে নিঃসৃত হয় ল্যাকটোজ নামে এনজাইম বা উেসচক, যা দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার বিপাকে সাহায্য করে। কোনো কোনো রোগ যেমন ইনফ্লামেটরি বাউয়েল ডিজিজ, সিলিয়াক ডিজিজ ইত্যাদিতে ল্যাকটোজ এনজাইমের ঘাটতি বা অকার্যকারিতা হতে পারে। ফলে এসব রোগীর দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার সহজে হজম হয় না। দুধে আছে ল্যাকটোজ, আর তা হজমে সমস্যা হলে তাকে বলা হয় ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স। কারও কারও বংশগতভাবে এই সমস্যা থাকতে পারে। কীভাবে বুঝবেন, দুধ-অসহনীয়তা? ল্যাকটোজ সমৃদ্ধ খাবার মানে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে। যেমন বমি ভাব, পেটের ভেতর অস্বস্তি, কামড়ানো, পেট ফাপা বা গ্যাস, ডায়রিয়া ইত্যাদি। এই লক্...

গুণের দাদা আদা

বিশ্বের অন্যতম স্বাস্থ্যকর মসলা হিসেবে পরিচিত ‘আদা’। এর অনেক গুণ। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা সমাধানেও আদার ব্যবহার দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা আদাকে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে রায় দিয়েছেন। কারণ আদায় আছে বিশেষ রেচক গুণ, যা অন্ত্রের গতিবিধি সচল করে কোষ্ঠকাঠিন্য ভাব দূর করতে পারে।  কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আদা যেভাবে ব্যবহার করবেন:  ১. হালকা গরম পানিতে সদ্য গুঁড়ো করা সামান্য আদার সঙ্গে লেবুর খানিকটা রস মিশিয়ে দিনে দু-তিনবার পান করলে কার্যকর ফল পাওয়া যেতে পারে; ২. আদার রসের সঙ্গে লেবুর রস বা আখের রস বা মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে; ৩. সবজি রান্নায় সামান্য আদা যুক্ত করা যেতে পারে; ৪. সতেজ এক টুকরো আদা মুখে নিয়ে ধীরে ধীরে চিবিয়ে রস খেলে হজম শক্তি বাড়ে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়: ৫. আদা-চা অন্ত্রের নড়াচড়া প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। আদায় জিঞ্জারোল নামের উপাদান আছে। আদা অ্যান্টি অ্যাক্সিড্যান্ট, প্রদাহরোধী ও ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।