অর্শ বা পাইলস কি (What is piles) ?
পাইলস বা হেমোরয়েড (বাংলায় অর্শ্ বা গেজ) হলো পায়ুপথে এবং মলাশয়ের নিম্নাংশে অবস্থিত প্রসারিত এবং প্রদাহযুক্ত শিরা। মলাশয়ের নিম্নাংশ বা মলদ্বারের শিরাগুলো ফুলে গেলে সেগুলোকে অর্শ বা পাইলস বলে। এই অর্শ মলদ্বারের ভেতরেও হতে পারে আবার বাইরেও হতে পারে . এটি মলদ্বারের ভেতরেই থাকে। কিন্তু যখন রোগ হিসাবে প্রকাশ পায় তখন ঝুলে বাইরে বের হয়ে আসতে পারে।পাইলস কেন হয় ?
অর্শের সঠিক কারণ জানা না গেলেও নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অর্শ হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে :
- দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া অথবা পায়খানা কষার সমস্যা দেখা দিলে
- শরীরের অতিরিক্ত ওজন ও অস্বাভাবিক রকম মোটা হলে
- গর্ভবতী অবস্থায়
- মল ত্যাগে বেশী চাপ দেয়া
- অতিরিক্ত মাত্রায় লেকজেটিভ (মল নরমকারক ওষুধ)ব্যবহার করা বা এনেমা (শক্ত মল বের করার জন্য বিশেষ
- তরল মিশ্রণ ব্যবহার করা) গ্রহণ করা
- দীর্ঘ সময় টয়লেট এ বসে থাকা এবং চাপ প্রয়োগ করে টয়লেট করা
- বংশানুক্রমিক ভাবেও এ রোগ ছড়ায়।
- শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার এবং পানি কম খাওয়া
- বৃদ্ধ বয়সে
- ভার উত্তোলন, দীর্ঘ সময় বসে থাকা ইত্যাদি।
- লিভার সিরোসিস ইত্যাদি নানান কারনে অর্শ বা পাইলস বেশি হয়ে থাকে।
পাইলস রোগের লক্ষন কি, পাইলস হয়েছে কি করে বুঝবেন ? (Symptoms of Piles)
- মলত্যাগের সময় নরম আবরনী ঝুলে বাইরে চলে আসা।
- মলদ্বার দিয়ে রস নির্গত হওয়া যা মলত্যাগের আগে ও পরে ফোঁটায় ফোঁটায় পড়তে থাকে।
- মলত্যাগের সময় ব্যথাহীন রক্তপাত, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মলদ্বারে ব্যথা হতে পারে।
- মলদ্বারে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া হতে পারে।
- মলদ্বারের বাইরে ফুলে যায় যা হাত দিয়ে স্পর্শ ও অনুভব করা যায়।
- পায়ুপথ চুলকানো অথবা অস্বস্তিকর জ্বালাপোড়া
- পায়ুপথ থেকে বাইরের দিকে ফোলা ও ব্যথা লাগা
- পায়ুপথের মুখে চাকার মত হতে পারে ও ব্যথা লাগা
- টয়লেটে তাজা রক্ত যাওয়া।
- আম (মিউকাস) জাতীয় নিঃসরন।
- মলদ্বারের ফোলা বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে আবার নাও পারে। অনেক সময় বের হলে তবে তা নিজেই ভেতরে চলে যায় অথবা হাত দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া যায়। আবার কখনও কখনও বাইরে বের হওয়ার পর তা আর ভেতরে প্রবেশ করানো যায় না অথবা প্রবেশ করানো গেলেও তা আবার বেরিয়ে আসে।
চিকিৎসা (Treatment for Piles) :
পাইলসের নানা রকম চিকিৎসা আছে, যেমন:০১ম পর্যায়ঃ সাধারণত ঔষধ অথবা থাদ্যাভাস পরিবর্তনের মাধ্যমেই ভালো খাকা যায়।
০২য় পর্যায়ঃ রিং লাইগেশন, ইনজেকশন, সার্জারী।
৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ঃ সার্জারী।
Comments
Post a Comment