Skip to main content

পেটে গ্যাস?সমস্যা সমাধান?

অনেকেই গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। এসিডিটির সমস্যাকেও অনেকে গ্যাসের সমস্যার সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেন। কষ্টদায়ক অসুখটি কখনো কখনো খুব অস্বস্তিকরও।














পেটে গ্যাস হওয়া মানে বাতাসের মতো কিছু জমা হওয়া। সাধারণভাবে প্রত্যেকের পেটের ভেতরেই স্বাভাবিক হজম প্রক্রিয়ার উপজাত হিসেবে কিছু গ্যাস তৈরি হয়।

কিন্তু কারো কারো ক্ষেত্রে এই স্বাভাবিক গ্যাসই অস্বস্তিসহ ব্যথার অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে। পেটে খুব গ্যাস হয়—এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে বহু রোগী ডাক্তারের কাছে আসেন। তাদের প্রত্যেকেরই যে পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হয়, তা নয়। আবার বহু রোগী পেটে গ্যাস বলতে বোঝেন জ্বালাপোড়াসহ এসিডিটির সমস্যাকে। এর সবকিছু কিন্তু গ্যাসের কারণে হয় না।

ঢেঁকুর ওঠা, পায়ুপথ দিয়ে বাতাস নির্গত হওয়া স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড। মুখ দিয়ে নির্গত এই বাতাস সাধারণত খাদ্য গ্রহণের সময় পাকস্থলীতে ঢুকে যায়। কিছু গ্যাস তৈরি হয় পরিপাকতন্ত্রে হজম প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে।

একজন সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষের পেটে খালি বা ভরা উভয় অবস্থায়ই প্রায় ২০০ এমএল গ্যাস থাকে।

মজার ব্যাপার হলো, যেসব রোগী পেটে গ্যাসের সমস্যার কথা বলেন, তাঁদেরও কিন্তু প্রায় একই পরিমাণ গ্যাস জমা থাকে কিন্তু অতিরিক্ত গ্যাস নির্গত হয়। একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন পায়ুপথে ৪৭০ থেকে এক হাজার ৫০০ এমএল গ্যাস নিঃসরণ করে থাকেন, যা গড়ে প্রায় ৭০০ এমএল এবং প্রতিদিন প্রায় ২০ বার গ্যাস নিঃসরণ করে থাকেন, যা খাবারের প্রকারভেদে কমবেশি হয়ে থাকে। পাঁচ রকম গ্যাস মিলেই সাধারণত পেটের ভেতর এই বাতাস তৈরি হয়। এগুলো হচ্ছে নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, হাইড্রোজেন, মিথেন। এর মধ্যে নাইট্রোজেনের পরিমাণই সবচেয়ে বেশি।



যদি হঠাৎ দু-একদিন গ্যাস হয়, তাহলে চিন্তিত হওয়ার তেমন কিছু নেই। যদি প্রায়ই গ্যাস হয় এবং এ কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে, তবে গ্যাসের চিকিৎসা করতে হবে।

কিন্তু কখন গ্যাস তৈরি হয়ে ব্যথার সৃষ্টি করে? আগেই বলা হয়েছে, খাবারের মাধ্যমে ঢুকে যাওয়া বাতাস ও উপজাত হিসেবে তৈরি গ্যাস মুখ দিয়ে ও পায়ুপথে বের হয়ে যায়। এ ছাড়া খাদ্যের ওপর কোলনে থাকা জীবাণুর প্রভাবেও অনেক গ্যাস হয়ে থাকে। পেটে উৎপাদিত বেশির ভাগ গ্যাসই শোষণের মাধ্যমে রক্তে মিশে ফুসফুস দিয়ে বের হয়ে যায়। কোনো কারণে খাদ্য শোষণের সমস্যা হলে অশোষিত গ্যাস বেশি হয়ে থাকে। বেশির ভাগ ফল ও শাকসবজিতে এমন একটি উপাদান আছে (ওলিগো স্যাকারাইড), যা হজম করার এনজাইম মানুষের পরিপাকতন্ত্রে নেই, এগুলো কোলনের জীবাণু দিয়ে ফারমেনটেশন হয়ে গ্যাস উৎপাদন করে।


চিনি খেতে ভালো লাগলেও এর উপাদানগুলো মানুষের পরিপাকতন্ত্র সহজে হজম করতে পারে না। যেমন— ল্যাকটোজ, সরবিটল, ফ্রুক্টোজ।

স্টার্চও ভালোভাবে হজম হয় না। তবে স্টার্চের মধ্যে ভাত কিন্তু ব্যতিক্রম। সাধারণত ভাত যাঁরা তিনবেলা খান তাঁদের পেটে গ্যাস কম হয়। অন্যদিকে গম, ওট, আলু ইত্যাদি থেকে তৈরি খাবার খেলে পেটে গ্যাস বেশি হয়।

কিন্তু যদি এই গ্যাস বের হতে না পারে, তখন পরিপাকতন্ত্রের নালির ভেতর জমা হয়ে তা ফুলে ওঠে। এটাকে বলে ব্লটিং বা স্ফীত হওয়া। ব্লটিংয়ের কারণেই ব্যথা ও অস্বস্তি হয়। যেসব কারণে ব্লটিং বেশি হয়, তার মধ্যে আছে—


► তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার খেলে

► কার্বনেটেড বেভারেজ বা কোমল পানীয় পান করলে

► খাদ্য দ্রুত খাওয়া, স্ট্র দিয়ে জুস বা তরল পান, চুইংগাম খাওয়া

► মানসিক চাপ ও উদ্বিগ্নতায় ভোগা

► ধূমপান করা

► পরিপাকতন্ত্রের অভ্যন্তরে ব্লক বা নালি সরু হয়ে যাওয়া

► কলিয়াক ডিজিজ, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স ইত্যাদি।


ব্লটিং বা পেট ফাঁপার পেছনে কিছু খাবারও দায়ী। যাঁদের পেটে গ্যাস বেশি হয়, তাঁদের কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। যেমন—


► শিম ও শিমজাতীয় খাবার

► ব্রকলি

► বাঁধাকপি

► ফুলকপি

► আপেল

► দুধ ও দুধজাত সামগ্রী

► পেঁয়াজ

বুকজ্বলা সমস্যাকে অনেকে গ্যাস হয়েছে মনে করেন। এ দুটির মধ্যে কিছুটা সম্পর্ক আছে। যাদের বুকজ্বলা বা এসিড রিফ্ল্যাক্স বা জিইআরডি রোগ আছে, তাদের পাকস্থলী থেকে কিছুটা এসিড গলার কাছে চলে আসে। এ অবস্থা প্রতিরোধ করতে রোগীকে বারবার ঢোক গিলতে হয়। তখন ঢোকের মাধ্যমে বাতাস পাকস্থলীতে ঢুকে যায়। তাই বুকজ্বলা রোগীদের অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা দেখা যায়।

তবে শুধু গ্যাস হলে বুকজ্বলা সমস্যা নাও হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘদিন যদি গ্যাসের সমস্যা চলতেই থাকে, সে ক্ষেত্রে পাকস্থলীতে গ্যাসের কারণে এক ধরনের প্রদাহ বা গ্যাসট্রাইটিস হতে পারে কিংবা হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি দিয়ে ইনফেকশন হতে পারে, যা আলসারও করতে পারে।



রোগ নির্ণয়


যখন পেট ফোলা বা ফাঁপার অনুভূতি হয় বা পেটে গ্যাস জমে থাকে তখন সাধারণ এক্স-রে করেই গ্যাসের অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কিছুক্ষেত্রে বেরিয়াম মিল এক্স-রে করে দেখতে হতে পারে।

অনেক সময় আলট্রাসনোগ্রাম, সিটিস্ক্যান ও এমআরআইয়ের মতো আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গ্যাসের অস্তিত্ব এবং এর কারণ সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়।


ভালো থাকতে হলে


► খাবার ধীরে ধীরে খেতে হবে। খাবার গ্রহণের সময় কথা বলা যাবে না

► কোমল পানীয় ও কার্বনেটেড যেকোনো বেভারেজ এড়িয়ে চলতে হবে

► চুইংগাম, পান ইত্যাদি যা বহুক্ষণ মুখে রেখে চিবোতে হয় তা বাদ দিতে হবে

► ক্যান্ডি খাওয়া চলবে না

► ধূমপান করা চলবে না

► পাকস্থলী ও পরিপাকতন্ত্রের অন্যান্য অসুখ থাকলে তার চিকিৎসা করতে হবে

► তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার কম খেতে হবে

► বেশি আঁশ আছে এমন খাবার কম গ্রহণ করতে হবে

► নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। সম্ভব হলে প্রতিদিন ৪০ মিনিট হাঁটতে হবে।


জেনে রাখা ভালো


► পরিপাকতন্ত্রে স্বাভাবিকভাবেই গ্যাস তৈরি হয়। যা ক্ষুদ্রান্ত্রের ভেতর দিয়ে কোলনে জমা হয়। আবার কোলনেও কিছু গ্যাস তৈরি হয়।

► গ্যাসের সমস্যা সবাই একই রকম অনুভব করে না। যেমন, কেউ ঢেঁকুর বেশি তোলাকে সমস্যা মনে করেন। কারো কারো পেট ফুলে থাকার অনুভূতি হয়। কারো কারো পায়ূপথে বেশি গ্যাস নির্গত হয়।

► আইবিএস, গ্যাস্ট্রাইটিস, পাকস্থলীর ক্যান্সার, পিত্তথলির পাথর ইত্যাদি অসুখে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি ও নির্গত হয় না। কিন্তু আইবিএস রোগীরা মনে করেন, পেটে গ্যাস বেশি হচ্ছে।

► গ্যাসের জন্য সাধারণত তীব্র মাত্রায় পেট ব্যথা হয় না।

► বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্যাসের চিকিৎসার জন্য ওষুধের প্রয়োজন হয় না। সাধারণত খাদ্যাভ্যাস বদলেই এ সমস্যা সমাধান করা যায়।

► পায়ূপথে নির্গত দুর্গন্ধযুক্ত বায়ূ আর পরিপাকতন্ত্রে উৎপন্ন গ্যাস এক নয়। দুর্গন্ধযুক্ত বায়ূতে সাধারণত সালফার থাকে এবং এই গ্যাস কোলনে তৈরি হয়। দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস নির্ভর করে কি ধরনের খাবার খাওয়া হয়েছে, কোলনে কি ধরনে ব্যাকটেরিয়া উপস্থিত আছে ইত্যাদির ওপর।

► ঢেঁকুর বেশি হলেই যে পেটে গ্যাস হয়েছে তা নয়। অনেকে মনে করে পেটে গ্যাস হয়েছে তাই তারা বারবার ঢেঁকুর তোলে- যা এক সময় অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়।

► সব সময় যদি পেট ফুলে থাকার অনুভূতি হয় তবে তা গ্যাসের জন্য নাও হতে পারে। সাধারণত গ্যাসের জন্য পেট ফোলার যে অনুভূতি হয় তা সাময়িক। পরিপাকতন্ত্রে টিউমার, পেরিটোনিয়াল ক্যাভিটিতে পানি জমা কিংবা অতিরিক্ত চর্বি জমার জন্য সাধারণত সব সময় পেট ফুলে থাকার ঘটনা ঘটে।

► পেটে গ্যাসের সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ সিমেথিকন গ্রুপের ওষুধ।

► ছোট শিশুদের, বিশেষ করে বুকের দুধ ও ফিডার খায় এমন শিশুদের পেটে বাতাস বেশি ঢোকে। এক্ষেত্রে পিঠে চাপ দিয়ে গ্যাস বের করে দিতে হয়।

Comments

Popular posts from this blog

আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা

আলসার বা পেটের ভিতরে হওয়া ঘা রোগীর জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। পেটের দেওয়ালে হওয়া ঘায়ের সঙ্গে খাবারের মধ্যে থাকা মশলা , তরল ইত্যাদির সংস্পর্শ হলে বা অ্যাসিডিটি হলে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয় , গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যা হয় , পেট জ্বালা করতে থাকে যা সহ্য করা একেক সময় অসম্ভব হয়ে ওঠে। আলসারের মধ্যে সবচেয়ে চেনা নাম হল ' গ্যাসট্রিক আলসার ' । আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে আলসার ধরা পড়ার পর চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো যায়। বস্তুত , আলসার সারানোর নানা উপায় রয়েছে। আলসার সেরে যাওয়ার পর ঠিকমতো ডায়েট চার্ট মেনে চলাও সবার অবশ্য কর্তব্য। একইসঙ্গে ধূমপান না করা , মদ্যপানে বিরত থাকার কথাও চিকৎসকেরা বারবার করে বলে দেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক , কোন কোন খাবার ডায়েট চার্টে থাকলে আলসার সারতে পারে সহজেই। মধু মধু এমন একটি অ্যান্টিসেপটিক যা যে কোনও জ্বালা-পোড়া বা ঘা সারাতে লড়াই করে। মধু খেলে আলসার আর বাড়ে না। বরং ধীরে ধীরে কমবে। টক দই কম ফ্যাটের ডেয়ারি প্রোডাক্ট, বিশেষ করে দই আলসার সারাতে অসাধারণ কাজ করে। চর্বিহীন মাংস ও পোলট্রি  প্রোডাক্ট চর্বিহীন মাংস ও পোল...

আমাশয় এবং আইবিএস কি ? #004

শহরের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুরাদ হোসেন, বয়স পঞ্চাশ, উদ্বিগ্ন মনে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বারে বসে আছেন। কয়েকদিন যাবৎ তার পেটটা ভাল যাচ্ছে না। এর আগেও তার পাতলা পায়খানার সমস্যা হয়েছে। কিন্তু এবার তিনি লক্ষ্য করেছেন- পায়খানার সাথে লাল লাল রক্ত যাচ্ছে। তাই তিনি চিন্তিত মনে তার সমস্যা নির্ণয়ের চেষ্টায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন। পারভিন আক্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। বয়স চব্বিসের কাছাকাছি হবে। কয়েক মাস ধরে তার পেটে সমস্যা হচ্ছে। দিনে দু থেকে তিনবার পায়খানা হয়, প্রত্যেকবার পায়খানার আগে পেটটা মোচড় দিয়ে ব্যথা হয়, পায়খানা হয়ে গেলে ব্যথা কমে যায়। পেটে শব্দ হয় এবং পায়খানা কিছুদিন পাতলা হয়, আবার কিছুদিন ভাল থাকে। পায়খানার সাথে আম যায়। এমতাবস্থায় দৈনন্দিন কাজে সমস্যা হওয়ায় একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট পরামর্শের জন্য এসেছেন। দীর্ঘমেয়াদী লিভার প্রদাহের সমস্যায় ভুগছেন চল্লিশ বছর বয়সী রাকিব মোল্লা। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করে যাচ্ছেন। কয়েক মাস হল তার পায়খানা পাতলা হতে শুরু করেছে। কিছুদিন ভাল থাকে, কিছুদিন পাতলা হয়, কিছুদিন কষা হয়। পায়খানার সাথে আম যায়। পেটে খু...

ওজন কমানোর ছয় টি ভুল ধারণা

বাড়তি ওজন কমে গেলে কার না ভালো লাগে! তাই ওজন কমাতে অনেকে হয়তো উঠেপড়ে লাগেন। আর ভুলভাল রীতি মেনে চলতে থাকেন।এতে অনেকের বাড়তি মেদ   কমলেও শরীরের ওপর বাজে প্রভাব পড়ে। আবার চেষ্টার পরও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পায় না অনেকে। ওজণ   কমানোর কিছু ভুল ধারণার কথা   জেনে নিন। 1: কার্বোহাইড্রেট শত্রু অনেকেই ওজণ কমানোর সময় কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিয়ে দেন বা ভাবেন Weight কমাতে গেলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিতেই হবে। সত্য হলো , শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে গেলে বা স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে গেলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিলে চলবে না। স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেটের উৎস যেমন : ফল , সবজি , বাদাম , গম জাতীয় খাবার এগুলো শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।   ওজন   কমাতে প্রোটিনের সঙ্গে কার্বোহাইড্রেটের ভারসাম্য রাখতে হবে। তবে পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে একমত বিশেষজ্ঞরা। পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট যেমন : সাদা ভাত , সাদা পাস্তা , প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাক , মিষ্টি ইত্যাদি। এগুলো কম খাওয়াই ভালো। 2: দ্রুত ফলাফল পেতে জিমে গিয়ে কঠোর ব্যায়াম করা প্রতিদিন সমপর...