
গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগের লক্ষণ
১. বুক ও পেটের উপরের অংশে ব্যাথা (পাকস্থলীর আলসারের ক্ষেত্রে খাবার খেলে এ ব্যাথা কমে যায়, কিন্তু অন্ত্রের আলসারের ক্ষেত্রে খাবার খেলে এ ব্যাথা সাধারণত বাড়ে),
২. বুক জ্বালাপোড়া করা,
৩. টক বা তিক্ত স্বাদের ঢেকুর তোলা,
৪. মাত্রাতিরিক্ত হেচকি ওঠা,
৫. বুকের পেছনের অংশে বা মেরুদণ্ডে ব্যথা,
৬. পেটের উপরের অংশে গরম অনুভূত যাওয়া,
৭. ক্ষুধামন্দা,
৮. বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া।
প্রতিকারের উপায়
প্রতিকারের উপায়
ডাক্তারি পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ সেবন ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে সহজেই এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন প্রতিকারের কয়েকটি সহজ উপায় জেনে নেই-১. ভাজাপোড়া ও মশলাযুক্ত খাবার কম খাওয়া।
২. এলকোহল ও ক্যাফেইন যুক্ত খাবার (যেমন: চা, কফি ইত্যাদি) বর্জন করা।
৩. ভাতের সাথে অতিরিক্ত লবন (কাঁচা লবন) না খাওয়া। কারন খাবার লবনে যে অতিরিক্ত সোডিয়াম থাকে তা
আলসার তৈরিতে সহায়তা করে।
৪. সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছ বেশি করে খাওয়া। কারন এ ধরনের মাছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে যা প্রোস্টাগ্লাণ্ডিন তৈরিতে সাহায্য করে। এই প্রোস্টাগ্লাণ্ডিন আলসার শুকাতে সাহায্য করে।
৫. এসপিরিন ও ব্যাথানাশক ওষুধ এড়িয়ে চলা। এগুলো প্রোস্টাগ্লাণ্ডিনকে বাধা দেয়। ফলে নতুন করে আলসার তৈরি হয়।
৬. ভিটামিন-এ, সি ও ই যুক্ত ফল-মূল ও শাক-সবজি বেশি পরিমানে খাওয়া। এ সকল ভিটামিন আলসারের ঘা শুকাতে
সাহায্য করে।
৭. প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা। এতে অতিরিক্ত এসিড নিষ্ক্রিয় (নিউট্রালাইজ) হয়ে যাওয়ায় আলসারের ঝুঁকি কমে।
৩. ভাতের সাথে অতিরিক্ত লবন (কাঁচা লবন) না খাওয়া। কারন খাবার লবনে যে অতিরিক্ত সোডিয়াম থাকে তা
আলসার তৈরিতে সহায়তা করে।
৪. সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছ বেশি করে খাওয়া। কারন এ ধরনের মাছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে যা প্রোস্টাগ্লাণ্ডিন তৈরিতে সাহায্য করে। এই প্রোস্টাগ্লাণ্ডিন আলসার শুকাতে সাহায্য করে।
৫. এসপিরিন ও ব্যাথানাশক ওষুধ এড়িয়ে চলা। এগুলো প্রোস্টাগ্লাণ্ডিনকে বাধা দেয়। ফলে নতুন করে আলসার তৈরি হয়।
৬. ভিটামিন-এ, সি ও ই যুক্ত ফল-মূল ও শাক-সবজি বেশি পরিমানে খাওয়া। এ সকল ভিটামিন আলসারের ঘা শুকাতে
সাহায্য করে।
৭. প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা। এতে অতিরিক্ত এসিড নিষ্ক্রিয় (নিউট্রালাইজ) হয়ে যাওয়ায় আলসারের ঝুঁকি কমে।
গ্যাস্ট্রিক আলসারের চিকিৎসাঃ
ReplyDeleteচিকিৎসার মূল লক্ষ্য তিনটি -
১) লক্ষ্মণ উপসর্গ দূর করা
২) আলসার শুকানো দ্রুততম করা
৩) এইচ. পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার পুনরাবৃত্তি রোধ করা।
আর এর মাধ্যমেই আলসারের পুনরাবির্ভাব প্রতিরোধ করা এবং দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা লাঘব করা যায়।
সাধারণ কিছু স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা -
ধূমপান, মদ্যপান, অ্যাসপিরিন ও NSAIDs জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ পরিহার করা।
খাবার গ্রহণে তেমন বিশেষ কিছু বিধি নিষেধ নেই, শরীরের পক্ষে সহায়ক সকল প্রকার খাবারই পরিমাণ মতো খাওয়া যেতে পারে।
ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসাঃ
লক্ষ্মণ উপসর্গ কমানো ও ঘা বা আলসার শুকানোর জন্য -
(১) H2 blocker -
ফ্যামোটিডিন
(২) PPI -
ওমিপ্রাজল, প্যান্টোপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজল, ল্যানসোপ্রাজল, ডেক্স-ল্যানসোপ্রাজল, র্যাবিপ্রাজল
(৩) অ্যান্টাসিড, সুক্রালফেট, বিসমাথ
(৪) এইচ. পাইলোরি নির্মূলকরণ চিকিৎসা
৭-১৪ দিনব্যাপী এই চিকিৎসা নিতে হয়।
৮০-৯০% সফলতা পাওয়া যায়।
সাধারণত একটি PPI এর সাথে দুটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় (অ্যামোক্সিসিলিন, ক্লারিথ্রোমাইসিন, মেট্রোনিডাজোল, লিভোফ্লক্সাসিন, টেট্রাসাইক্লিন), সাথে বিসমাথও থাকতে পারে।
মেইনটেনেন্স বা রক্ষণাবেক্ষণ মূলক চিকিৎসা -
এইচ. পাইলোরি নির্মূলকরণ চিকিৎসার পর নিরবচ্ছিন্ন মেইনটেনেন্স চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
স্বল্প সংখ্যক ক্ষেত্রে শুধু মাত্র রাতের বেলা স্বল্প মাত্রার PPI ব্যবহার করা যেতে পারে।
সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
(১) তাৎক্ষণিক সার্জারি
★ আলসার ঘনীভূত হয়ে পাকস্থলী কিংবা ডিওডেনাম ফুটো হয়ে গেলে,
★ পাকস্থলি কিংবা ডিওডেনাম হতে রক্তপাত হলে।
(২) ঐচ্ছিক সার্জারি
★ Gastric outflow obstruction বা দীর্ঘ মেয়াদি আলসারের জটিলতা জনিত পাকস্থলীর বহির্মুখ সরু বা বন্ধ হয়ে গেলে;
★ পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসার পরও স্থায়ী আলসার থাকলে;
★ অপারেশনের পরও যদি পাকস্থলী কিংবা ডিওডেনামে পৌনঃপুনিক আলসার হয়।
বিস্তারিত জানতে, Dr Sayedul Haque Jewel
সহকারী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ,
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
চীফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টার।
০১৭০৩-৭২৮৬০১