Skip to main content

আলসারের লক্ষণগুলো কি কি জেনে নিন...




বর্তমানে মানুষ পেটের যে রোগটিতে অধিকাংশ সময় ভুগে থাকেন তা হল আলসার। পেটের ভিতর ক্ষত বা ঘা হওয়াকে আলসার বলা হয়ে থাকে। আলসারকে সাধারণ রোগ ভেবে পাত্তা না দিলে পরবর্তীতে এটি অনেক মহামারী আকার ধারন করতে পারে। প্রথম থেকেই যদি সঠিক চিকিৎসা নেওয়া হয়ে তবে সম্পূর্ণভাবে আলসার ভাল হওয়া সম্ভব। তাহলে জেনে নিন আলসারের লক্ষণগুলো কি কি


১। পেট ফাঁপা ও বায়ু ত্যাগ : কোন কিছু না খেয়েই পেট ভরা মনে হবে। পেটের গ্যাসের কারণে পেট ভরা মনে হয়ে থাকে। খাবারের পর পর বা যেকোন সময় অস্বস্তির সাথে পেট ফাঁপা অনুভূত হবে। কিছুক্ষণ পর পর বায়ু ত্যাগের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

২। খাবারের অরুচি : আলসারের রোগীর খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমে যায়। খাবারে অরুচি দেখা দেয়। পরিমাণমত খাবার না খাওয়ায় শরীর হয়ে পরে দুর্বল। এর কারণে রক্ত স্বল্পতা, গা ম্যাজ ম্যাজ করা, অল্প কাজে ক্লান্ত বোধ করা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৩। ওজন কমে যাওয়া : খাবার কম খাওয়ায় দিন দিন রোগীর ওজন কমতে থাকতে। হজমের গোলমালের কারণে এই সমস্যাটা হয়ে থাকে।

৪। কালো পায়খানা : আলসার যখন মারাত্নক আকার ধারণ করে তখন পেটের ভিতর রক্তক্ষরণের কারণে রোগীর ঘন, আঠালো এবং কালচে অস্বাভাবিক রং এর পায়খানা হতে পারে। এইরকম লক্ষণ দেখা দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৫। অস্বাভাবিক পেট ব্যথা : নাভির ডান বা বাম পাশে অল্প একটু জায়গায় চিন চিন ব্যথা অনুভূত হওয়া। অনেক সময় পেটের কোথাও ব্যথা অনুভূত না হয়ে বুকের মাঝখানে চাপ চাপ ব্যথা হওয়া এবং অস্বস্তি বোধ করা। আবার অনেক সময় এই ব্যথা পিঠ পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্সের ফলে এই ব্যথা হয়ে থাকে। কখন কখনও এই রকম পেটে ব্যথার কারণে রাতে ঘুম থেকে উঠে বসে থাকতে পারে রোগী।

৬। বুক জ্বালাপোড়া : আলসারের প্রথম এবং শুরুর লক্ষণ হল বুক জ্বালাপোড়া করা। মশলাদার খাবার বা তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর বুক ও পেটের সংযোগস্থলে জ্বালাপোড়া করে থাকবে। এবং তার সাথে সাথে টক ঢেঁকুর আসা। এটি আলসারের প্রথম ও প্রাথমিক লক্ষণ।

৭। রক্তবমি : অনেক সময় আলসারের রোগীর রক্তবমি হতে পারে। তবে বমির সাথে টাটকা রক্ত বের হবে না। বমি ও রক্ত মিশে খয়েরি রং এর বমি হতে পারে। যদি এমন হয় তবে বুঝতে হবে আলসার অনেক মারাত্নক পর্যায়ে চলে গেছে। অতিসত্বর চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

Comments

Popular posts from this blog

আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা

আলসার বা পেটের ভিতরে হওয়া ঘা রোগীর জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। পেটের দেওয়ালে হওয়া ঘায়ের সঙ্গে খাবারের মধ্যে থাকা মশলা , তরল ইত্যাদির সংস্পর্শ হলে বা অ্যাসিডিটি হলে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয় , গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যা হয় , পেট জ্বালা করতে থাকে যা সহ্য করা একেক সময় অসম্ভব হয়ে ওঠে। আলসারের মধ্যে সবচেয়ে চেনা নাম হল ' গ্যাসট্রিক আলসার ' । আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে আলসার ধরা পড়ার পর চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো যায়। বস্তুত , আলসার সারানোর নানা উপায় রয়েছে। আলসার সেরে যাওয়ার পর ঠিকমতো ডায়েট চার্ট মেনে চলাও সবার অবশ্য কর্তব্য। একইসঙ্গে ধূমপান না করা , মদ্যপানে বিরত থাকার কথাও চিকৎসকেরা বারবার করে বলে দেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক , কোন কোন খাবার ডায়েট চার্টে থাকলে আলসার সারতে পারে সহজেই। মধু মধু এমন একটি অ্যান্টিসেপটিক যা যে কোনও জ্বালা-পোড়া বা ঘা সারাতে লড়াই করে। মধু খেলে আলসার আর বাড়ে না। বরং ধীরে ধীরে কমবে। টক দই কম ফ্যাটের ডেয়ারি প্রোডাক্ট, বিশেষ করে দই আলসার সারাতে অসাধারণ কাজ করে। চর্বিহীন মাংস ও পোলট্রি  প্রোডাক্ট চর্বিহীন মাংস ও পোল...

আমাশয় এবং আইবিএস কি ? #004

শহরের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুরাদ হোসেন, বয়স পঞ্চাশ, উদ্বিগ্ন মনে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বারে বসে আছেন। কয়েকদিন যাবৎ তার পেটটা ভাল যাচ্ছে না। এর আগেও তার পাতলা পায়খানার সমস্যা হয়েছে। কিন্তু এবার তিনি লক্ষ্য করেছেন- পায়খানার সাথে লাল লাল রক্ত যাচ্ছে। তাই তিনি চিন্তিত মনে তার সমস্যা নির্ণয়ের চেষ্টায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন। পারভিন আক্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। বয়স চব্বিসের কাছাকাছি হবে। কয়েক মাস ধরে তার পেটে সমস্যা হচ্ছে। দিনে দু থেকে তিনবার পায়খানা হয়, প্রত্যেকবার পায়খানার আগে পেটটা মোচড় দিয়ে ব্যথা হয়, পায়খানা হয়ে গেলে ব্যথা কমে যায়। পেটে শব্দ হয় এবং পায়খানা কিছুদিন পাতলা হয়, আবার কিছুদিন ভাল থাকে। পায়খানার সাথে আম যায়। এমতাবস্থায় দৈনন্দিন কাজে সমস্যা হওয়ায় একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট পরামর্শের জন্য এসেছেন। দীর্ঘমেয়াদী লিভার প্রদাহের সমস্যায় ভুগছেন চল্লিশ বছর বয়সী রাকিব মোল্লা। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করে যাচ্ছেন। কয়েক মাস হল তার পায়খানা পাতলা হতে শুরু করেছে। কিছুদিন ভাল থাকে, কিছুদিন পাতলা হয়, কিছুদিন কষা হয়। পায়খানার সাথে আম যায়। পেটে খু...

ওজন কমানোর ছয় টি ভুল ধারণা

বাড়তি ওজন কমে গেলে কার না ভালো লাগে! তাই ওজন কমাতে অনেকে হয়তো উঠেপড়ে লাগেন। আর ভুলভাল রীতি মেনে চলতে থাকেন।এতে অনেকের বাড়তি মেদ   কমলেও শরীরের ওপর বাজে প্রভাব পড়ে। আবার চেষ্টার পরও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পায় না অনেকে। ওজণ   কমানোর কিছু ভুল ধারণার কথা   জেনে নিন। 1: কার্বোহাইড্রেট শত্রু অনেকেই ওজণ কমানোর সময় কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিয়ে দেন বা ভাবেন Weight কমাতে গেলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিতেই হবে। সত্য হলো , শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে গেলে বা স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে গেলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিলে চলবে না। স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেটের উৎস যেমন : ফল , সবজি , বাদাম , গম জাতীয় খাবার এগুলো শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।   ওজন   কমাতে প্রোটিনের সঙ্গে কার্বোহাইড্রেটের ভারসাম্য রাখতে হবে। তবে পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে একমত বিশেষজ্ঞরা। পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট যেমন : সাদা ভাত , সাদা পাস্তা , প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাক , মিষ্টি ইত্যাদি। এগুলো কম খাওয়াই ভালো। 2: দ্রুত ফলাফল পেতে জিমে গিয়ে কঠোর ব্যায়াম করা প্রতিদিন সমপর...