Skip to main content

স্লিম হতে পারেন পোষাক দিয়েই.........


আপনি খুব বেশি মোটা না হলেও একেবারেই স্লিম তাও নন৷ তাই মনের মধ্যে স্লিম হওয়ার একটা সুপ্ত বাসনা আপনার নিশ্চয়ই আছে৷ এই স্বপ্নকে বাস্তব করতে কত কিছুনা করেছেন, কিন্তু লাভের লাভ হয়নি৷ কিন্তু জানেনি সঠিক ভাবো পোষাক পড়লেই আপনাকে স্লিম দেখতে লাগবে? বিশ্বাস করতে পারলেন না তো? জেনে নিন কিভাবে আর কি ধরনের পো৷ষাক পড়লে আপনি অনায়াসেই নিজের মধ্যে স্লিম লুক আনতে পরবেন৷
মেয়েদের জন্য:
Ø  লং স্কার্টের সঙ্গে ফিট টপ ব্যবহার করুন৷
Ø  আপনার কোমরের দিকটা মোটা হলে এর ওপরের অংশের জন্য গাঢ় উজ্জ্বল রং ব্যবহার করুন। আর নিচের অংশে ব্যবহার করুন হালকা কিন্তু উজ্জ্বল রং।
Ø  আপনার গরন মোটা হলে ভি বা চৌক শেপের গলা পরুন ও গলায় লেস ব্যবহার করুন৷
Ø  যাঁদের ব্রেস্টের দিক বেশি মোটা তারা উপরের অংশে গাঢ় রঙ বা প্রিন্টেড কাপড়ের জামা ব্যবহার করতে পারেন৷
Ø  মোটা মেয়েরা ওপরের অংশে গাঢ় রঙের ওড়না বা স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন৷ জামার দুপাসে লেস ব্যবহার করুন এতে আপনাকে রোগা দেখাবে৷
Ø  আপনার জামার হাতায় কাজ, ব্লক বা এমব্রয়ডারি থাকলে তা যেমন লম্বালম্বি থাকে তা দেখে নেবেন৷
Ø  খুব ঢিলেঢালা পোশাক এড়িয়ে চলুন৷ আবার খুব চাপা সালোয়ার ও ব্যবহার করবেন না৷
Ø  হাত বেশি মোটা হলে বেশি ছোট হাতাওয়ালা জামা না পরাই ভালো। একটু বড় করে হাত বানান। থ্রি কোয়ার্টার হাতের জামা পরাই সবচেয়ে নিরাপদ।
Ø  কামিজের পেছনের গলা খুব বেশি বড় করবেন না। তাই বলে একদম ছোট গলা পরবেন না, এতে আরো মোটা দেখাবে।
Ø  পোষাকের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গাঢ় রঙের শেড ব্যবহার করুন৷ কালো, নীল, সবুজ বা কালচে মেরুন ইত্যাদি রঙে শরীর স্লিম দেখায়৷
Ø  শার্টিন বা ভেলভেটের কাপড় পড়বেন না৷
Ø   ভারী ও জমকালে শাড়ির বদলে হালকা ফেব্রিকের শাড়ি পড়ুন৷ এছাড়াও শিফন, ক্রেপ বা জর্জেট পড়তে পারেন৷ কোন উৎসবে তরস সিল্ক বা সিল্ক বেনারসী ব্যবহার করতে পারেন৷
Ø  সারা শরীরের তুলনায় হাত বেশি মোটা হলে পোষাক বাছাই করা একটিু মুশকিল৷  এমনটা হলে ছোট হাতার পোষাক এড়িয়ে চলুন৷ কাফতান ধরনের পোষাক ব্যবহার করতে পারেন৷ থ্রি কোয়াটার হাতার পোষাক ও ব্যবহার করতে পারেন৷
Ø  মোটা মেয়েরা শাড়ি পড়লে স্টেট হাতার ব্লাউড পড়বেন৷ একরঙের ব্লাউড না পড়ে প্রিন্টেড বা চেক ব্লাউড পড়তে পারেন৷
Ø  বেশি কারুকার্য করা শাড়ি পড়লে হালকা ব্লাউড ব্যবহার করুন৷ স্টেইট থ্রি কোয়াটার হাতার ব্লাজ পড়তে পারেন৷ এছাড়াও নেটের ফুলহাতা ব্লাউজও পড়তে পারেন৷

ছেলেদের ক্ষেত্রে:
Ø  শার্ট একেবারে ফিট পড়বেন৷
Ø  জিন্সের ক্ষেত্রে গাঢ় রঙ ব্যবহার করুন৷
Ø  স্ট্রেট বেল্ট পড়লে স্লিম দেখতে লাগে৷শার্ট বা টি-শার্ট যেটাই পরুন না কেন, তা যেন গাঢ় রঙের হয় এবং অবশ্যই যেন আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হয়। চেকের ক্ষেত্রে ছোট চেকের শার্ট পরুন।
Ø  প্যান্টের ফিটিংয়ের বিষয়েখেয়াল রাখুন৷ ঢোলা প্যান্টে দেখতে আরও মোটা লাগে৷
Ø  খুব মোটা বা চওড়া কলারের পোশাক পরবেন না। এতে ঘাড় ছোট দেখায়, ফলে আরো মোটা দেখাবে। শার্টের সবচেয়ে ওপরের বোতাম কখনোই লাগাবেন না। এতেও ঘাড় ছোট দেখায়।
Ø  ভুঁড়ি থাকলে শার্ট হালকা ভাবে ইন করুন৷ পেটের দিকে শার্ট এমন ভাবে ইন করুন যাতে বাড়তি পেট বোঝা না যায়৷
Ø  হাফহাতা শার্ট পরতে চাইলে খুব বেশি ফিটিং শার্ট না পরাই ভালো। এ ক্ষেত্রে হাওয়াই শার্ট পরতে পারেন।
Ø  ফর্মাল প্যান্টের ক্ষেত্রেও গাঢ় রং বেছে নিন।

Ø  মোটা ছেলেরা স্ট্রেট কাটের জিন্স পড়বেন৷ ন্যারো কাটের পড়লে হিপ ও থাই আরও চওড়া দেখাবে৷ গোল গলার গেঞ্জি না পরে শার্ট কলার পরুন। গোল গলায় ওজন বেশি মনে তো হবেই, সঙ্গে ভুঁড়িটাও বেশ ফুটে উঠবে।

Comments

Popular posts from this blog

আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা

আলসার বা পেটের ভিতরে হওয়া ঘা রোগীর জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। পেটের দেওয়ালে হওয়া ঘায়ের সঙ্গে খাবারের মধ্যে থাকা মশলা , তরল ইত্যাদির সংস্পর্শ হলে বা অ্যাসিডিটি হলে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয় , গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যা হয় , পেট জ্বালা করতে থাকে যা সহ্য করা একেক সময় অসম্ভব হয়ে ওঠে। আলসারের মধ্যে সবচেয়ে চেনা নাম হল ' গ্যাসট্রিক আলসার ' । আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে আলসার ধরা পড়ার পর চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো যায়। বস্তুত , আলসার সারানোর নানা উপায় রয়েছে। আলসার সেরে যাওয়ার পর ঠিকমতো ডায়েট চার্ট মেনে চলাও সবার অবশ্য কর্তব্য। একইসঙ্গে ধূমপান না করা , মদ্যপানে বিরত থাকার কথাও চিকৎসকেরা বারবার করে বলে দেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক , কোন কোন খাবার ডায়েট চার্টে থাকলে আলসার সারতে পারে সহজেই। মধু মধু এমন একটি অ্যান্টিসেপটিক যা যে কোনও জ্বালা-পোড়া বা ঘা সারাতে লড়াই করে। মধু খেলে আলসার আর বাড়ে না। বরং ধীরে ধীরে কমবে। টক দই কম ফ্যাটের ডেয়ারি প্রোডাক্ট, বিশেষ করে দই আলসার সারাতে অসাধারণ কাজ করে। চর্বিহীন মাংস ও পোলট্রি  প্রোডাক্ট চর্বিহীন মাংস ও পোল...

আমাশয় এবং আইবিএস কি ? #004

শহরের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুরাদ হোসেন, বয়স পঞ্চাশ, উদ্বিগ্ন মনে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বারে বসে আছেন। কয়েকদিন যাবৎ তার পেটটা ভাল যাচ্ছে না। এর আগেও তার পাতলা পায়খানার সমস্যা হয়েছে। কিন্তু এবার তিনি লক্ষ্য করেছেন- পায়খানার সাথে লাল লাল রক্ত যাচ্ছে। তাই তিনি চিন্তিত মনে তার সমস্যা নির্ণয়ের চেষ্টায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন। পারভিন আক্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। বয়স চব্বিসের কাছাকাছি হবে। কয়েক মাস ধরে তার পেটে সমস্যা হচ্ছে। দিনে দু থেকে তিনবার পায়খানা হয়, প্রত্যেকবার পায়খানার আগে পেটটা মোচড় দিয়ে ব্যথা হয়, পায়খানা হয়ে গেলে ব্যথা কমে যায়। পেটে শব্দ হয় এবং পায়খানা কিছুদিন পাতলা হয়, আবার কিছুদিন ভাল থাকে। পায়খানার সাথে আম যায়। এমতাবস্থায় দৈনন্দিন কাজে সমস্যা হওয়ায় একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট পরামর্শের জন্য এসেছেন। দীর্ঘমেয়াদী লিভার প্রদাহের সমস্যায় ভুগছেন চল্লিশ বছর বয়সী রাকিব মোল্লা। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করে যাচ্ছেন। কয়েক মাস হল তার পায়খানা পাতলা হতে শুরু করেছে। কিছুদিন ভাল থাকে, কিছুদিন পাতলা হয়, কিছুদিন কষা হয়। পায়খানার সাথে আম যায়। পেটে খু...

ওজন কমানোর ছয় টি ভুল ধারণা

বাড়তি ওজন কমে গেলে কার না ভালো লাগে! তাই ওজন কমাতে অনেকে হয়তো উঠেপড়ে লাগেন। আর ভুলভাল রীতি মেনে চলতে থাকেন।এতে অনেকের বাড়তি মেদ   কমলেও শরীরের ওপর বাজে প্রভাব পড়ে। আবার চেষ্টার পরও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পায় না অনেকে। ওজণ   কমানোর কিছু ভুল ধারণার কথা   জেনে নিন। 1: কার্বোহাইড্রেট শত্রু অনেকেই ওজণ কমানোর সময় কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিয়ে দেন বা ভাবেন Weight কমাতে গেলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিতেই হবে। সত্য হলো , শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে গেলে বা স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে গেলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিলে চলবে না। স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেটের উৎস যেমন : ফল , সবজি , বাদাম , গম জাতীয় খাবার এগুলো শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।   ওজন   কমাতে প্রোটিনের সঙ্গে কার্বোহাইড্রেটের ভারসাম্য রাখতে হবে। তবে পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে একমত বিশেষজ্ঞরা। পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট যেমন : সাদা ভাত , সাদা পাস্তা , প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাক , মিষ্টি ইত্যাদি। এগুলো কম খাওয়াই ভালো। 2: দ্রুত ফলাফল পেতে জিমে গিয়ে কঠোর ব্যায়াম করা প্রতিদিন সমপর...