Skip to main content

যে ৬টি ভুল আপনার ওজন কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিচ্ছে!




এখন এমন একটা সময় এসেছে যখন নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে কমবেশি সবাই সচেতন হয়ে উঠতে শুরু করেছে। কিশোর- তরুণ বয়সী থেকে শুরু করে করে অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সের মানুষও নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নানা রকম ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ করছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, খুব সাধারণ কিছু ছোট ছোট ভুলের জন্য এই ডায়েট প্ল্যানগুলো ওজন (Weight) কমানোর বদলে ওজন বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই ভুলগুলো নিয়েই আজকে আলোচনা করব।


আপনি প্রয়োজনীয় খাবার খাচ্ছেন না

এটা ঠিক যে ওজন কমানোর জন্য শুরুতেই ক্যালরি গ্রহণ কম করতে বলা হয়। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ মানুষ যেটা করি তা হচ্ছে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে কমিয়ে দেই। কিন্তু আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না যে আমাদের শরীরের নিজস্ব প্রক্রিয়াগুলো চালানোর জন্য যথেষ্ঠ পরিমাণ পুষ্টির দরকার। আমরা যদি হঠাৎ করে খাবার পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দেই তবে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াগুলোর সাথে সাথে আমাদের মেটাবলিজম প্রক্রিয়াও কাজ করা কমিয়ে দেবে। ফলাফল যথারীতি ওজন বৃদ্ধি। এজন্য শুরুতেই ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা অনেক না কমিয়ে আস্তে আস্তে কমাতে হবে।


আপনার কার্বোহাইড্রেট সাদা রঙের

আমাদের দেহের জন্য ‘কার্বোহাইড্রেট’(Carbohydrate) যথেষ্ঠ জরুরী একটি উপাদান। আদর্শ খাবারের প্লেটে সবজি ও প্রোটিনের সাথে অবশ্যই কিছুটা কার্বোহাইড্রেট থাকতে হবে। কিন্তু আমরা যে ভুলটা করি তা হল আমরা যে চাল, আটা, ময়দা ব্যবহার করি তার সবটাই হয় সাদা রঙের যা হজম হতে বেশি সময় লাগে। পুষ্টিবিদের মতে এগুলোর বদলে ব্রাউন রাইস বা ব্রাউন ব্রেডের ব্যবহার বাড়ানো উচিত।


ডেইরি জাতীয় খাবার না খাওয়া

আমরা অনেকেই ফ্যাটের ভয়ে দুধ জাতীয় খাবার খাই না। পুষ্টিবিদদের মতে ক্যলসিয়াম ডেফিসিয়েন্সি মেয়েদের মেটাবলিজমের হার কমিয়ে দেয়। ফলে ওজন বেড়ে যায়। তাই দুধ খাওয়া একদম বন্ধ না করে স্কীমড মিল্ক বা ননিবিহীন দুধ, টকদই এসব খেতে হবে।


একবেলার খাবার না খাওয়া

অনেকে ওজন কমানোর জন্য একবেলার খাবার বিশেষত সকালের নাস্তা বন্ধ করে দেন যা একেবারেই উচিত না। কারণ সকালের নাস্তা আমাদের জন্য সবথেকে জরুরী খাবার এবং এটি থেকেই সারাদিনের কাজের জন্য দেহ এনার্জী গ্রহণ করে। তাই সকালের নাস্তা হওয়া চাই বিভিন্ন রকম ‘পুষ্টিতে’(Nutrition) পরিপুর্ণ। অনেকে আবার রাতের খাবার বন্ধ করে দেন যেটাও ঠিক না। রাতের খাবার একেবারে বন্ধ করে না দিয়ে রাতের খাবারটি আটটার মধ্যে খেয়ে নিবেন।


খাবারের হিসাব না রাখা

একটা নির্দিষ্ট ডায়েট প্লান অনুসরণ করার সময় সেই ডায়েট প্লান অনুযায়ী খাবারের পরিমাণ হিসাব রাখাটা খুব জরুরী। প্রচলিত ডায়েট প্ল্যানগুলোতে খাবারের পরিমাণ কাপ, চামচ বা গ্রামে হিসাব করে দেয়া থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ সময় আমরা চোখের আন্দাজে খাবারের পরিমাপ নির্ধারণ করি যা প্রায় সময়ই ভুল হয়। আর অবধারিতভাবেই ডায়েটের ফলাফল আশানুরূপ হয় না।


দুটি খাবারের মধ্যে অনেক বেশি সময়ের ব্যবধান

আমাদের খাবারের মধ্যবর্তী সময় যদি অনেক বেশি হয় তাহলেও আমাদের মেটাবলিজমের হার কমে যায় যার ফলে অনেক কম খেলেও ওজন কমার বদলে বাড়তে থাকে। তাই তিন ঘন্টা অন্তর সামান্য সালাদ বা একটি ফল খেতে হবে। এতে মেটাবলিজম ভাল থাকবে, সেই সাথে অতিরিক্ত ক্ষিদে লাগার প্রবণতাও কমে যাবে।

Comments

Popular posts from this blog

আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা

আলসার বা পেটের ভিতরে হওয়া ঘা রোগীর জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। পেটের দেওয়ালে হওয়া ঘায়ের সঙ্গে খাবারের মধ্যে থাকা মশলা , তরল ইত্যাদির সংস্পর্শ হলে বা অ্যাসিডিটি হলে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয় , গ্যাসট্রাইটিসের সমস্যা হয় , পেট জ্বালা করতে থাকে যা সহ্য করা একেক সময় অসম্ভব হয়ে ওঠে। আলসারের মধ্যে সবচেয়ে চেনা নাম হল ' গ্যাসট্রিক আলসার ' । আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে আলসার ধরা পড়ার পর চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো যায়। বস্তুত , আলসার সারানোর নানা উপায় রয়েছে। আলসার সেরে যাওয়ার পর ঠিকমতো ডায়েট চার্ট মেনে চলাও সবার অবশ্য কর্তব্য। একইসঙ্গে ধূমপান না করা , মদ্যপানে বিরত থাকার কথাও চিকৎসকেরা বারবার করে বলে দেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক , কোন কোন খাবার ডায়েট চার্টে থাকলে আলসার সারতে পারে সহজেই। মধু মধু এমন একটি অ্যান্টিসেপটিক যা যে কোনও জ্বালা-পোড়া বা ঘা সারাতে লড়াই করে। মধু খেলে আলসার আর বাড়ে না। বরং ধীরে ধীরে কমবে। টক দই কম ফ্যাটের ডেয়ারি প্রোডাক্ট, বিশেষ করে দই আলসার সারাতে অসাধারণ কাজ করে। চর্বিহীন মাংস ও পোলট্রি  প্রোডাক্ট চর্বিহীন মাংস ও পোল...

আমাশয় এবং আইবিএস কি ? #004

শহরের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুরাদ হোসেন, বয়স পঞ্চাশ, উদ্বিগ্ন মনে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বারে বসে আছেন। কয়েকদিন যাবৎ তার পেটটা ভাল যাচ্ছে না। এর আগেও তার পাতলা পায়খানার সমস্যা হয়েছে। কিন্তু এবার তিনি লক্ষ্য করেছেন- পায়খানার সাথে লাল লাল রক্ত যাচ্ছে। তাই তিনি চিন্তিত মনে তার সমস্যা নির্ণয়ের চেষ্টায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন। পারভিন আক্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। বয়স চব্বিসের কাছাকাছি হবে। কয়েক মাস ধরে তার পেটে সমস্যা হচ্ছে। দিনে দু থেকে তিনবার পায়খানা হয়, প্রত্যেকবার পায়খানার আগে পেটটা মোচড় দিয়ে ব্যথা হয়, পায়খানা হয়ে গেলে ব্যথা কমে যায়। পেটে শব্দ হয় এবং পায়খানা কিছুদিন পাতলা হয়, আবার কিছুদিন ভাল থাকে। পায়খানার সাথে আম যায়। এমতাবস্থায় দৈনন্দিন কাজে সমস্যা হওয়ায় একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট পরামর্শের জন্য এসেছেন। দীর্ঘমেয়াদী লিভার প্রদাহের সমস্যায় ভুগছেন চল্লিশ বছর বয়সী রাকিব মোল্লা। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করে যাচ্ছেন। কয়েক মাস হল তার পায়খানা পাতলা হতে শুরু করেছে। কিছুদিন ভাল থাকে, কিছুদিন পাতলা হয়, কিছুদিন কষা হয়। পায়খানার সাথে আম যায়। পেটে খু...

ওজন কমানোর ছয় টি ভুল ধারণা

বাড়তি ওজন কমে গেলে কার না ভালো লাগে! তাই ওজন কমাতে অনেকে হয়তো উঠেপড়ে লাগেন। আর ভুলভাল রীতি মেনে চলতে থাকেন।এতে অনেকের বাড়তি মেদ   কমলেও শরীরের ওপর বাজে প্রভাব পড়ে। আবার চেষ্টার পরও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পায় না অনেকে। ওজণ   কমানোর কিছু ভুল ধারণার কথা   জেনে নিন। 1: কার্বোহাইড্রেট শত্রু অনেকেই ওজণ কমানোর সময় কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিয়ে দেন বা ভাবেন Weight কমাতে গেলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিতেই হবে। সত্য হলো , শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে গেলে বা স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে গেলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিলে চলবে না। স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেটের উৎস যেমন : ফল , সবজি , বাদাম , গম জাতীয় খাবার এগুলো শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।   ওজন   কমাতে প্রোটিনের সঙ্গে কার্বোহাইড্রেটের ভারসাম্য রাখতে হবে। তবে পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে একমত বিশেষজ্ঞরা। পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট যেমন : সাদা ভাত , সাদা পাস্তা , প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাক , মিষ্টি ইত্যাদি। এগুলো কম খাওয়াই ভালো। 2: দ্রুত ফলাফল পেতে জিমে গিয়ে কঠোর ব্যায়াম করা প্রতিদিন সমপর...